বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, চলতি বছরের মে মাস শেষে ব্যাংক-বহির্ভূত টাকার অংক দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৯৩ হাজার ৭৫০ কোটি। কিন্তু পাঁচ মাস আগে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে এটা ছিল ১ লাখ ৫৬ হাজার ৬০০ কোটি। করোনা পরিস্থিতি দীর্ঘায়িত হলে এর পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, চলতি বছরের জুন শেষে আগের বছরের একই মাসের তুলনায় আমানত প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ও এই প্রবৃদ্ধি ছিল সাড়ে ১২ শতাংশের ওপরে। সংশ্লিষ্টদের মতে করোনাভাইরাসের কারণে আমানতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়েছে। তথ্য বলছে, চলতি বছরের জুন শেষে ব্যাংকিং খাতের মোট আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১১ লাখ ৮১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। আগের বছরের একই মাসে যা ছিল ১০ লাখ ৬৪ হাজার ৫৩৬ কোটি। সেই হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে আমানত প্রবৃদ্ধি ১০ দশমিক ৯৪ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিংখাতের আমানত ছিল ১১ লাখ ৩৬ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। যা আগের বছরের (২০১৮) একই সময়ের তুলনায় ১২ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেশি।
অর্থনীতিবিদদের মতে, আমানত প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়া এবং ব্যাংকের বাইরে মুদ্রা বৃদ্ধির মূল কারণ করোনাভাইরাস। বাংলাদেশে এর আক্রমণের শুরু থেকেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ব্যাংকিং খাতের উপর। কোভিড চলাকালীন পরিস্থিতিতে চাকরি হারিয়েছেন অনেক মানুষ। যাদের চাকরি রয়েছে তাদের মধ্যে অনেকেরই বেতন কমে গেছে। তাই নতুনভাবে সঞ্চয়ের চিন্তা না করে জীবন বাঁচানোর চিন্তায় সাধারণ মানুষ। নতুন করে সঞ্চয় তো দূরের কথা উল্টো ব্যাংকের ডিপোজিট ভেঙে ফেলছেন অনেক গ্রাহক।