বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে পুঁজিবাজারে বন্ড ছেড়ে ১০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সংগ্রহের পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকার বিদ্যুৎ খাতের জন্য পুঁজিবাজার থেকে অর্থ সংগ্রহের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু করে চলতি বছরের জুলাই মাসের মাঝামাঝি। বেশ কয়েকটি সভার পর বন্ডের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহ করার বিষয়টি চুড়ান্ত হয়।
তৌফিক-ই-ইলাহি চৌধুরী বলেন, দেশের বিদ্যুত খাত এবং পুঁজিবাজার দুটোই লাভবান হবে এ বন্ড থেকে। পাশাপাশি জ্বালানি খাতের বেশকিছু কোম্পানি আগামী বছর পুঁজিবাজারে আসবে।
এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারে গতিশীলতার পাশাপাশি বৈচিত্র আসবে বলে মন্তব্য করেন।তিনি আরও বলেন, এ বাজারে আসতে শিল্পভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি থাকার জন্য বলা হয়েছে।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. বিরূপাক্ষ পাল তার বক্তব্যের শুরুতে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, বিনিয়োগ, সুদ হার, মাথাপিছু আয়, নারীদের কর্ম সংস্থান, আমদানি ও রফতানি, প্রবাসী আয় (রেমিট্যান্স), দারিদ্র্যতার হার, মূল্যস্ফীতিসহ অর্থনীতির নান দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, চলতি ২০১৫-১৬ অর্থবছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা মোতাবেক বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ৫০ থেকে ৭ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হবে।
অর্থনীতিতে পুঁজিবাজারের ভূমিকা বিষয়ে তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো পুঁজিবাজারকে কাজে লাগিয়ে নিজ নিজ অর্থনীতি চাঙ্গা করেছে। আমাদেরও এ বাজারকে কাজে লাগানো উচিৎ। গবেষণার মাধ্যমে এ বাজারের সংকট কাটানো সম্ভব। এতে পুঁজিবাজারের পাশাপাশি চাঙ্গা হবে দেশের অর্থনীতি।
কোম্পানিগুলোকে ব্যাংক নির্ভরতা কমিয়ে পুঁজিবাজারে আসার অনুরোধ জানান তিনি।
জ্বালানি তেল বিষয়ে ড. বিরূপাক্ষ পাল বলেন, তেলের দাম বিশ্ববাজারে নিম্নমুখী। এর প্রভাব অভ্যন্তরীণ বাজারে দেখা যাচ্ছে না। বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে দেশের বাজারে জ্বালানি তেলের দামের সমন্বয় প্রয়োজন।
তেলে দাম সমন্বয় করা সম্ভব হলে দেশে বিনিয়োগ বাড়বে বলে জানান তিনি।