রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রাংশ পাঠানো শুরু করেছে রাশিয়া

received_1786933331460401

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পারমাণবিক চুল্লিপাত্র এবং স্টিম জেনারেটর পাঠিয়েছে রাশিয়া। করোনা মহামারির মধ্যেও কেন্দ্রটির নির্মাণকাজ করছে দেশি ও রাশিয়ান শ্রমিকরা। বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে পাঠানো এক ই-মেইলে এ তথ্য জানানো হয়। বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট ২০২৩ সালে এবং দ্বিতীয় ইউনিট ২০২৪ সালে উৎপাদনে আসার কথা রয়েছে।

বলা হয়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মূল যন্ত্রাংশই পারমাণবিক চুল্লি এবং স্টিম জেনারেটর। এই দুটি যন্ত্রাংশ দেশে নির্ধারিত সময়ে আসায় মনে করা হচ্ছে, সময়ের মধ্যেই কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসবে।

রোসাটম জানায়, পারমাণবিক চুল্লিপাত্রটির ওজন ৩৩৩ দশমিক ৬ টন এবং স্টিম জেনারেটরের ওজন ৩৪০ টন। এ ধরনের যন্ত্র স্থানান্তর এবং পরিবহন একটি জটিল প্রক্রিয়া। বিশেষভাবে চুল্লিপাত্র এবং স্টিম জেনারেটর স্বয়ংক্রিয় যানে করে ভোলগোদোনস্কের সিমলিয়ান্সকের একটি জেটিতে পাঠানো হয়। সেখান থেকে এগুলো নভোরোসিয়েস্কে পৌঁছায়। সেখান থেকে কৃষ্ণসাগর এবং সুয়েজ ক্যানেল হয়ে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে পৌঁছাবে।

রোসাটমের যন্ত্র উৎপাদনকারী শাখা জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশ থেকে জানানো হয়েছে, রাশিয়ার ভোলগোদোনস্কের অটোম্যাসের কারখানায় এগুলো প্রস্তুত করা হয়েছে। ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তিকে সবথেকে নিরাপদ বলে উল্লেখ করছে রাশিয়া।

received_2856558548003785

জেএসসি অটোমেনারগোম্যাশের মহাপরিচালক আন্দ্রেই নিকিপেলোভ এ বিষয়ে বলেছেন, করোনাভাইরাসের মধ্যেও তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই যন্ত্রাংশ প্রস্তুত করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন। সময়ের সঙ্গে তারা যন্ত্রাংশের গুণগত মান বাজায় রাখার জন্যও সচেষ্ট থাকেন। এক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে ১৪ হাজার কিলোমিটার সমুদ্রপথ অতিক্রম করে এগুলো পৌঁছতে চলতি বছরের শেষ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

রোসাটম বলছে, ভিভিইআর-১২০০ প্রযুক্তির পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থা কল্পনাতীত। এই প্রযুক্তিকে তৃতীয় প্রজন্মের চেয়ে অগ্রগামী বা থ্রি প্লাস বলা হচ্ছে। পুরোপুরি বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও কোনও রকম অপারেটরের সাহায্য ছাড়াই এ ধরনের প্রযুক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে।

প্রসঙ্গত, সব মিলিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে দুই হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে।