দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানালো এফবিসিসিআই

এফবিসিসিআই

আইপি সুরক্ষা, রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট (আরওআই) প্রযুক্তির মতো নানাবিধ সুবিধার কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যান্য সমমানের বাজারগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। এ কারণে প্রযুক্তি এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (এফবিসিসিআই)। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (ডিসিসিআই) সঙ্গে ‘বাইলেটেরাল ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ ইন দ্য অনগোয়িং গ্লোব্যাল প্যানডেমিক’ শীর্ষক এক সম্মেলনে অংশ নিয়ে এ আহ্বান জানান দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীরা।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দ্বিমুখী বিনিয়োগ এবং বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার বাজারে প্রবেশ সুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়।

সম্মেলনে এফবিসিসিআই সভাপতি ফজলে ফাহিম, সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ডিসিসিআইয়ের সভাপতি নাইজেল ওয়ার্ড এবং সিইও পলেসা ফিলি মহামারি-পরবর্তী পরিস্থিতিতে উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

২০১৯-২০ অর্থবছরে দুই দেশের মধ্যকার ২৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বিষয়টি উল্লেখ করে ফজলে ফাহিম জানান, ফার্মা, আইসিটি, এফএমসিজি, হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস এবং ব্যাংকিং ও শিপিংয়ে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে দু’দেশের শীর্ষস্থানীয় বাণিজ্যিক সংস্থা একসঙ্গে কাজ করে অগ্রগতি অর্জন করতে পারে।

তিনি বলেন, ‘আমরা যখন স্বাভাবিকতার দিকে ঘুরে দাঁড়াচ্ছি, তখন আমাদের অর্থনৈতিক বিষয়ে আমরা আত্মবিশ্বাসী। কেননা, জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি, রেমিট্যান্স প্রবৃদ্ধি এবং বৈদেশিক রিজার্ভ প্রবৃদ্ধি নিয়ে আমাদের অর্থনীতি শক্তিশালীভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আইপি সুরক্ষাসহ আমাদের আরওআই প্রযুক্তির মতো অর্থনৈতিক রূপকারের কারণে বিনিয়োগকারীদের কাছে অন্যান্য সমমানের বাজারগুলোর তুলনায় বাংলাদেশ আকর্ষণীয় গন্তব্য হয়ে উঠেছে। প্রযুক্তি এবং জ্ঞান স্থানান্তরের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশের উৎপাদন প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এগিয়ে রাখাসহ, ডোমেস্টিক কনজিউমার বেস, আঞ্চলিক বাজারে প্রবেশ, বিনাশুল্কে ভারত, ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াতে বাণিজ্য সুবিধা এবং এশিয়া প্যাসিফিক ট্রেড অ্যাগ্রিমেন্ট সুবিধাসহ আরও অনেক সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যৌথ উদ্যোগের উদ্দীপনাকে কাজে লাগিয়ে আমরা খনন, ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল ও মোটরবাইক শিল্পের উপাদান উৎপাদন, কৃষি, ফিশারি ও সমুদ্র অর্থনীতি সহযোগিতা, শিপিংয়ে সেবা সহযোগিতা, পর্যটন, উচ্চশিক্ষা এবং অর্থ খাতে দ্বিপক্ষীয় ভ্যালু চেইন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী।’

ডিসিসিআই সভাপতি নাইজেল ওয়ার্ড বলেন, ‘ডারবান চেম্বার তার সদস্যদের এফবিসিসিআইয়ের সদস্যদের সঙ্গে সংযুক্ত করে কাজ করতে সক্ষম এবং আগ্রহী। সাফল্য অর্জন করা সম্ভব এমন সব প্রকল্পগুলোতে উভয় প্রতিষ্ঠানের সদস্যরা আবারও নতুন করে সচল করে ভালো কিছু অর্জন করতে পারবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’

এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে ঘুরে দাঁড়ানোর এই সময়ে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে আমরা আমাদের দক্ষিণ-আফ্রিকার অংশীদার এবং ডিসিসিআইয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করবো এমনটাই আশা করছি।’