বাকিতে ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানির সুযোগ বাড়ল আরও ৬ মাস

বাংলাদেশ ব্যাংক

বাকিতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও চিকিৎসা সামগ্রী আমদানির সুযোগ আরও ৬ মাস বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে বাকিতে জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী প্রভৃতি আমদানি করা যাবে ৩১ মার্চ পর্যন্ত। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই সুযোগের সময়সীমা দেওয়া হয়েছিল। পাশাপাশি একই সময় পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় ‘ব্যাক টু ব্যাক’ ঋণপত্রের দায় পরিশোধের সময়সীমাও।

মঙ্গলবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রানীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত তিনটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। চলমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ নীতি সহায়তাগুলোর সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে বলছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

ওই সার্কুলারে বলা হয়, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, চিকিৎসা সামগ্রী প্রভৃতি আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাংকের রিপেমেন্ট গ্যারান্টি অথবা বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই ৫ লাখ মার্কিন ডলার অগ্রিম আমদানি মূল্য বিদেশে পাঠানো যাবে। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ আমদানির ইউজেন্স সময় ৯০ দিন হতে বাড়িয়ে ১৮০ দিন করা হয়েছে। উৎপাদন উপকরণাদি এবং কৃষি উপকরণাদি ও রাসায়নিক সার আমদানির ইউজেন্স সময় উন্নীত করা হয়েছে ১৮০ দিন থেকে ৩৬০ দিনে। আলোচ্য সময়ের মধ্যে রিয়ালাইজেশন ক্লজ যুক্ত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্র/ইউজেন্স ঋণপত্র স্থাপনের সাধারণ প্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, বৈদেশিক মুদ্রায় অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের আওতায় উপকরণাদি সরবরাহের বিপরীতে পরিশোধ কার্যক্রম ব্যাংলাদেশ ব্যাংকে পরিচালিত এফসি ক্লিয়ারিং হিসাবের মাধ্যমে নিষ্পত্তির নির্দেশনা শিথিল করে, এডি ব্যাংকের নস্ট্রো হিসাবের মাধ্যমে সম্পাদনের অধিকার দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এদিকে আরেকটি সার্কুলারের মাধ্যমে সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় সেপ্টেম্বর ২০২০ সময়ে স্থাপিত ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের দায় পরিশোধের নিমিত্তে রফতানি উন্নয়ন তহবিলের আওতায় ১৮০ দিন সময়ের জন্য পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সরবরাহকারী কর্তৃক ইউজেন্স সময় বৃদ্ধি কিংবা বিদেশী অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক উক্ত ১৮০ দিনের জন্য পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা না পাওয়ার বিষয় সম্পর্কে অনুমোদিত ডিলার শাখাকে নিশ্চিত হতে হবে।

এছাড়া অপর একটি সার্কুলারে বলা হয়, সাপ্লায়ার্স/বায়ার্স ক্রেডিটের আওতায় আমদানির ক্ষেত্রে ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে দায় পরিাশোধের ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করা হলো।