ভ্যাট গোয়েন্দারা উজালা পেইন্ট ফ্যক্টরির ১৪৭ কোটি টাকার গোপন বিক্রির তথ্য উদঘাটন করেছেন। এতে প্রতিষ্ঠানটিতে ২৭ কোটি টাকার ভ্যাট ফাঁকির তথ্য পাওয়া গেছে। এই টাকা আদায়ে ব্যবস্থা নিচ্ছেন ভ্যাট গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) এনবিআরের ভ্যাট অফিস থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভ্যাট গোয়েন্দারা রাজধানীর বাংলামোটরে এএইচএন টাওয়ার (১২ তলা), ১৩ বীর উত্তম সিআর দত্ত রোডে অভিযান চালায়। ভ্যাট গোয়েন্দা সংস্থার উপপরিচালক নাজমুন নাহার কায়সার ও ফেরদৌসী মাহবুবের নেতৃত্বে গত ১৪ সেপ্টেম্বর অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অনুসন্ধান অনুসারে পেইন্ট ফ্যাক্টরিটি সুকৌশলে নিজস্ব বাণিজ্যিক দলিলাদি হেড অফিসে গোপন করে রেখেছিল। এর আগে ভ্যাট কর্মকর্তারা ফ্যাক্টরিতে তল্লাশি করলেও এসব তথ্য পাননি।
গোয়েন্দা অনুসন্ধানের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিল ২০১৪ থেকে আগস্ট ২০২০ পর্যন্ত তারা ভ্যাট রিটার্নে ২৫৬ কোটি টাকা বিক্রি প্রদর্শন করেছে।এতে তারা ভ্যাট পরিশোধ করেছে ৫১ কোটি টাকা।
কিন্তু বাংলামোটরের হেড অফিস থেকে জব্দ করা কাগজ অনুসারে প্রকৃত মোট বিক্রি পাওয়া যায় ৪০৩ কোটি টাকার। এতে ১৪৭ কোটি টাকার তথ্য গোপন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটি প্রকৃত বিক্রয় মূল্য গোপন করায় ভ্যাট ফাঁকি হয়েছে ১২.৫১ কোটি টাকা।
এই পণ্যে ৫% হারে সম্পূরক শুল্ক প্রযোজ্য। ফলে গোপন করা বিক্রয়ে সম্পূরক শুল্ক ফাঁকি হয়েছে ৪.২৭ কোটি টাকা।
অনুসন্ধান প্রতিবেদনে দেখা যায়, সময় মতো ভ্যাট না দেওয়ায় ভ্যাট আইন অনুযায়ী ২% হারে সুদ আরোপযোগ্য। সেই হিসাবে সুদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০.৩৪ কোটি টাকা।
অভিযানে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানের প্রকৃত বাণিজ্যিক তথ্যাদি ওরাকল সফটওয়্যারে ধারণ ও গোপন করে রেখেছিল। এসব তথ্যের সঙ্গে মাসিক রিটার্নের তথ্যে ব্যাপক গরমিল পাওয়ায় যায়।
তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দেওয়ায় উজালা পেইন্ট ফ্যাক্টরির বিরুদ্ধে ভ্যাট আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।