পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের তিন দফা দাবি

৩০নিজেদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের টাকা দ্রুত ফেরত পেতে  তিন দফা দাবি জানিয়েছেন পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেসের ছয় হাজার আমানতকারী।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) মতিঝিলে সিটি সেন্টারের সামনে মানববন্ধনে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এসব দাবি জানানো হয়। ব্যক্তি ও ক্ষুদ্র আমানতকারীদের এই মানববন্ধনে কয়েক হাজার আমানতকারী অংশ নেন। বক্তব্য রাখেন আমানতকারীদের নিয়ে গঠিত কাউন্সিলের কনভেনার ও প্রধান সমন্বয়কারী মো. আতিকুর রহমান আতিক এবং সেক্রেটারি জেনারেল রানা ঘোষ।

মানববন্ধনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা বাঁচতে চাই। আমাদের বাঁচানোর পথ সুগম করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সাহায্য কামনা করছি।

আরও বলা হয়,প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত যা আমাদের মতো অসহায় আমানতকারীদের জীবন বাঁচাবে এবং দেশের ব্যাংকিং ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে উঠবে।

পিপলস লিজিংকে এখনই অবসায়ন না করে এর পুনর্গঠনের মাধ্যমে দ্রুত গ্রাহকদের আমানত ফেরত দেওয়ার দাবি জানান তারা। এছাড়া অবিলম্বে পিপলস লিজিংয়ের সঙ্গে জড়িত দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি করা হয়।

 মানববন্ধন শেষে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সঙ্গে দেখা করে পিপলস লিজিংয়ের আমানতকারীদের একটি দল। গভর্নর তাদের আমানতের অর্থ দ্রুত ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন।

প্রসঙ্গত, পিপলস লিজিংয়ে আমানতকারীদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ দুই হাজার ৩৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। এর মধ্যে ব্যক্তি পর্যায়ের আমানত সাড়ে সাতশ’ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ করা ঋণের বড় অংশই নানা অনিয়মের মাধ্যমে বের হয়ে যায়। প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে মাত্র ১৬ কোটি টাকার মতো জমা আছে। আদালতের নির্দেশনার আলোকে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডিজিএম আসাদুজ্জামান খান পিপলস লিজিংয়ের সাময়িক অবসায়ক হিসেবে কাজ করছেন।

জানা গেছে, ১৯৯৭ সালের ২৪ নভেম্বর পিপলস লিজিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন পায়।