তাঁতিদের জন্য হবে উদ্যোক্তা পল্লি

Templateতাঁতিদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং মূলধন যোগানের কষ্ট দূর করার জন্য সরকার উদ্যোক্তা পল্লি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। দেশের তাঁত শিল্পে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরির জন্য কাজ করা হবে। তাঁত বোর্ডের নিজস্ব জমিতে তাঁতিদের জন্য আলাদা করে একটি পল্লি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ পল্লিতে একই স্থানে মেলা ও প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হবে।

মঙ্গলবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের জেডিপিসির সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড আয়োজিত “তাঁত নীতিমালা-২০২০” বিষয়ক কর্মশালায় পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এসব তথ্য জানান।

অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে তাঁত বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. শাহ আলম, পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল কালাম, বাংলাদেশ তাঁত বোর্ডের সদস্য রেজাউল করিমসহ সংশ্লিষ্ট অংশীজন উপস্থিত ছিলেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, অনুষ্ঠানে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তাঁত বস্ত্র রফতানির জন্য ওয়ানস্টপ সার্ভিস চালু করা হবে। তাঁত পণ্যের বাজারজাতকরণ সুবিধা সৃষ্টি করা হবে এবং পরিবর্তিত বাজারে ভোক্তার চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে নতুন নতুন ডিজাইন উদ্ভাবন এবং দক্ষ ডিজাইনার ও মানবসম্পদ তৈরিতে কাজ করা হবে।

কর্মশালায় জানানো হয়, মানুষের প্রধান ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে অন্যতম হলো বস্ত্র। বাংলাদেশের বস্ত্রখাতের অধিকাংশ যোগান আসে তাঁত শিল্প থেকে। তাঁত শিল্প বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ কুটির শিল্প। জাতীয় অর্থনীতিতে তাঁত শিল্পের ভূমিকা অপরিসীম।

উল্লেখ্য, সর্বশেষ তাঁত শুমারি অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বস্ত্র চাহিদার ৪০ শতাংশ তাঁত শিল্প যোগান দেয়। এ শিল্পের বার্ষিক উৎপাদনের পরিমাণ ৬৮ দশমিক ৭০ শতাংশ। আর জাতীয় অর্থনীতিতে মূল্য সংযোজনের দিক থেকে তাঁত শিল্প খাতের অবদান এক হাজার ২২৭ কোটি টাকার বেশি। এ শিল্পে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১৫ লাখ মানুষ জড়িত। দেশে বিদ্যমান এক লাখ ৮৩ হাজার ৫১২টি তাঁত ইউনিটে মোট হস্তচালিত তাঁতের সংখ্যা পাঁচ লাখ পাঁচ হাজার ৫৫৬টি। এর মধ্যে চালু তাঁতের সংখ্যা তিন লাখ ১১ হাজার ৮৫১টি।