ড. মইনুল খান জানান, হোটেল লেকশোরের বিরুদ্ধে ভ্যাট পরিশোধ ছাড়াই ব্যবসা করার অভিযোগ ওঠে। পরে এনবিআরের নির্দেশে ভ্যাট গোয়েন্দারা তথ্য নেন। এতে দেখা যায়, হোটেলটি চলতি বছরে ভ্যাট পরিশোধ থেকে বিরত রয়েছে। তিনি বলেন, ‘মঙ্গলবার ভ্যাট গোয়েন্দার একটি বিশেষ দল হোটেল লেকশোরে অভিযান চালায়। ভ্যাট গোয়েন্দার উপপরিচালক নাজমুন্নাহার কায়সার অভিযানে নেতৃত্ব দেন। অভিযানে র্যাবের একটি টহল দল সহযোগিতা করে। এ সময় বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকির তথ্য উদ্ঘাটিত হয়েছে ‘
তিনি আরও জানান, অভিযানে লেকশোর হোটেলের বারে ৩৪৯টি বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে, যার কোনও বৈধ কাগজ দেখাতে পারেননি হোটেল কর্তৃপক্ষ। এগুলো আইনানুগভাবে জব্দ করা হয়েছে।
ড. মইনুল খান বলেন, ‘লেকশোর হোটেলের প্রাঙ্গণ থেকে আবাসিক সেবা বিক্রয়ে প্রকৃত হিসাব উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে হোটেল কর্তৃপক্ষের দাখিল করা (২০১৯ সালে) মাসিক ভ্যাট রিটার্নের সঙ্গে ব্যাপক গরমিল পাওয়া গেছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ প্রকৃত বিক্রয় তথ্য গোপন করে ভ্যাট ফাঁকি দিয়েছে। উদ্ধার করা তথ্যে দেখা যায়, ক্রেতার কাছ থেকে ভ্যাট সংগ্রহ করেছে লেকশোর। কিন্তু তারা সেটা সরকারের কোষাগারে জমা দেয়নি।’
জানা গেছে, হোটেল প্রাঙ্গণ থেকে উদ্ধার করা তথ্যাদি যাচাই করে ভ্যাট ফাঁকির হিসাব বের করা হবে। এ বিষয়ে আরও তদন্ত করা হবে এবং ভ্যাট আইন ও অন্যান্য আইন অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভ্যাট গোয়েন্দা সূত্র জানায়, হোটেল লেকশোর প্রতিমাসে ৫ থেকে ৭ লাখ টাকা করে ভ্যাট পরিশোধ করেছে। অথচ হোটেলের বিক্রয় অনুযায়ী, প্রতি মাসে কোটি টাকা ভ্যাট প্রযোজ্য হয়। অভিযানে জব্দ করা কাগজপত্র যাচাই করা হলে বিপুল পরিমাণ ভ্যাট ফাঁকি উদ্ঘাটন হবে।
সূত্র মতে, ঢাকাকে ভিন্ন ভাবে আবিষ্কারের সুযোগ করে দিতে রুফটপ সুইমিং পুল ও রুফটপ রেস্টুরেন্টের সুবিধা নিয়ে ১৯৯১ সালে রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেল যাত্রা শুরু করে। আন্তর্জাতিক মানের সেবা প্রদানকারী এই হোটেলের খাবার পরিবেশনা আগত অতিথিদের কাছে বিশেষ সুনাম অর্জন করেছে।