পুঁজিবাজারে আসছে নতুন ব্যাংক

এনআরবিসি ব্যাংক

দীর্ঘ প্রায় এক যুগ পর পুঁজিবাজারে নতুন একটি ব্যাংক আসার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। এরই মধ্যে শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন ব্যাংকটিকে অনুমোদনও দিয়েছে। ব্যাংকটি শেয়ার ছেড়ে ১২০ কোটি টাকা তুলবে। নতুন এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের নাম এনআরবিসি ব্যাংক। এটিই চতুর্থ প্রজন্মের প্রথম ব্যাংক, যা পুঁজিবাজারে আসার অনুমোদন পেলো।

বুধবার (১৮ নভেম্বর) বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন-বিএসইসি এই ব্যাংকের অনুমোদন দেয়। এর মাধ্যমে প্রায় এক যুগ পর ব্যাংক খাতের কোনও কোম্পানির পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির পথ সুগম হলো।

অর্থাৎ পুঁজিবাজারে আসছে চতুর্থ প্রজন্মের ব্যাংক-এনআরবি কমার্শিয়াল (এনআরবিসি) ব্যাংক লিমিটেড।

বিএসইসি’র মুখপাত্র রেজাউল করিম অনুমোদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে সর্বশেষ ২০০৮ সালে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক—ব্যাংক খাতের কোম্পানি হিসেবে পুঁজিবাজারে এসেছিল।

এনআরবিসি পুঁজিবাজারে মোট ১২ কোটি শেয়ার ছাড়বে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য বা ফেস ভ্যালু হবে ১০ টাকা।

এনআরবিসি জানায়, ব্যাংকের পুঁজির গুণগত মানের আন্তর্জাতিক চর্চা ব্যাসেল-৩ এর শর্ত পরিপালনে, উত্তোলিত টাকার ১১০ কোটিই বিনিয়োগ করা হবে সরকারি সিকিউরিটিজে। তবে সাড়ে ৬ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে শেয়ারবাজারে। আর আইপিও’র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে খরচ হবে বাকি সাড়ে তিন কোটি টাকা।

বর্তমানে এনআরবিসির পরিশোধিত মূলধন ৫৮২ কোটি টাকা। নতুন করে উত্তোলিত টাকা যোগ হলে, তা ৭০২ কোটি টাকা হবে।

এনআরবিসি ব্যাংক ২০১৩ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে যৌথ মূলধনী কোম্পানি ও ফার্মগুলোর নিবন্ধক পরিদফতর-আরজেএসসি’র ব্যাংক কোম্পানি হিসেবে নিবন্ধন পায়।

ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরুর তিন বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।