চার বছরের মধ্যে ঢাকার সব বিদ্যুতের তার মাটির নিচে: বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নসরুল হামিদ (ফাইল ছবি)বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘ঢাকা শহরের সব বৈদ্যুতিক তার আগামী চার বছরের মধ্যে ভূগর্ভস্থ করা হবে। ধানমন্ডি এলাকায় তার মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। স্মার্ট গ্রিড, স্মার্ট মিটারসহ আধুনিক প্রযুক্তি বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ব্যবস্থাপনায় সংযুক্ত করে এখাতের স্বচ্ছতা ও জাবাবদিহিতা আরও দৃঢ় করা হবে।’

প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) আয়োজিত বিইউপি ক্যাম্পাসে ৫ কিলোওয়াট ভার্টিক্যাল উইন্ড টারবাইন ‘অনুভা’ স্থাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।

এ সময় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনাল (বিইউপি) এর ভাইস চ্যান্সেলর মেজর জেনারেল আতাউল হাকিম সারওয়ার হাসান।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে নানাভাবে প্রণোদনা দিচ্ছে। বায়ু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য দেশের ৯টি স্থানে ২০১৪ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত উইন্ড ম্যাপিং করা হয়েছে। বায়ুর বেগ ৫ দশমিক ৭৫ মিটার/সেকেন্ড থেকে ৬ দশমিক ২৫ মিটার/সেকেন্ড বিবেচনায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ বায়ু থেকে পাওয়া যেতে পারে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বর্জ্য থেকে ৪৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। নারায়ণগঞ্জে ৬ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রকল্পে বিদ্যুৎ কেনার প্রস্তাব সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠানোর কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। সৌর বিদ্যুৎ থেকে এক হাজার ৫৭০ দশমিক ৭৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায় অনুমোদন পেয়েছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে বর্তমানে ৬৫০ দশমিক ৩২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হচ্ছে, যার মধ্যে সোলার ৪১৬ দশমিক ৩৯, বায়ুবিদ্যুৎ দুই দশমিক ৯ ও জলবিদ্যুৎ ২৩০ মেগাওয়াট উল্লেখযোগ্য। ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে লক্ষ্যণীয় সাফল্য দেখাবে।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অর্থনীতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উত্তরোত্তর বড় হচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ইঞ্জিনিয়ার ও ব্যবস্থাপনায় কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে এবং বাড়বে।’