সোলার পাইপ লাইট ব্যবহারে ৩০% জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব

সোলার পাইপ লাইটদেশের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে সোলার পাইপলাইট ব্যবহার করলে দিনের বেলায় ৩০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় সম্ভব হবে।
আর তাই নতুন ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কারখানাগুলোতে দিনের ১২-১৪ ঘণ্টা সৌর পাইপলাইট ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি আব্দুল মাতলুব আহমাদ।
বুধবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাসটেইনেবল অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি ডেভেলপমেন্ট এনার্জি অথরিটি, গিজ বাংলাদেশ ও চেঞ্জ আয়োজিত সেমিনারে এ সব কথা বলেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সোলার পাইপলাইটের উদ্ভাবক সাজিদ ইকবাল।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কে এম হাবিব উল্লাহ, বাংলাদেশ সোলার অ্যান্ড রিনিউএবল এনার্জি অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসআরএ) সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়া, সাসটেইনেবল এনার্জি ফর ডেভেলপমেন্টের (এসইডি)প্রকল্প পরিচালক আল মুদাব্বির বিন আনাম ও স্পারডোর সদস্য সিদ্দিক জোবায়ের।
আব্দুল মাতলুব আহমাদ বলেন, বিভিন্ন দেশে বড় শিল্প, দালান ও হোটেলগুলোতে দিনের বেলায় সূর্যের আলো ব্যবহারের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয় হচ্ছে। দেশের বড় শিল্প-কারখানাগুলোতে দিনের বেলায় বৈদ্যুতিক বাতি না জ্বালায়ে সোলার পাইপলাইটের মাধ্যমে সূর্যের আলো ব্যবহার করা যায়। এতে একদিকে খরচ কমবে, অন্যদিকে জ্বালানির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

এই জন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দু’জন সোলার পাইপ উদ্ভাবনকারীকে ভারত বা শ্রীলঙ্কায় এ বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য সফর করানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

সেমিনারের প্রবন্ধ উপস্থাপক সাজিদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের সকল শিল্প প্রতিষ্ঠানে সোলার পাইপলাইট ব্যবহার করলে দিনের বেলায় ৩০ ভাগ জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। তিনি এ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা কামনা করেন।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারুল ইসলাম শিকদার বলেন, ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে। সে সময় আমাদের ৪০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে হবে। এর ১০ ভাগই করা হবে নবায়নযোগ্য জ্বালানি দিয়ে।

/এসআই/এফএইচ/