জাতীয় যাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বুধবার ধরিত্রী বাংলাদেশ’র কাছ থেকে তিনি এ সম্মাননা গ্রহণ করেন।
ধরিত্রী বাংলাদেশ’র মতে, প্রবৃদ্ধি ও সামষ্টিক অর্থনীতি স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সামাজিক ও পরিবেশবান্ধব উদ্যোগের মাধ্যমে মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ড. আতিউর রহমানের ভূমিকা ছিল যুগান্তকারী। তার গৃহীত উদ্যোগগুলো বাংলাদেশের প্রকৃতি ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনে অন্যতম পথিকৃতের ভূমিকা রেখেছে।
প্রবীণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অজয় রায়, চারুকলা শিল্পী রফিকুন নবী, ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন ইউনিট প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক সামন্তলাল সেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামসহ আরও সাতজনের সঙ্গে তিনি এই জাতীয় পুরস্কারে ভূষিত হন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিজয়ীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
চলতি বছর বাংলাদেশের আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ‘গভর্নর অব দ্য ইয়ার ২০১৫’ পুরস্কার লাভ করেন ড. আতিউর রহমান।
এর আগে সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থায়নের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার জন্য ‘এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের বর্ষসেরা গভর্নর ২০১৫’ পদকে ভূষিত হন। পাশাপাশি তিনি লাভ করেন ‘ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ২০১৫ আজীবন সম্মাননা পুরস্কার’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মাননা ২০১৫।
এ ছাড়া, গরীবের অর্থনীতিবিদ হিসেবে ২০১৪ সালে ‘গুসি পিস প্রাইজ’, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘ওয়াল্ডর্ নো টোবাকো ডে অ্যাওয়ার্ড’, হংকংস্থ ‘মোস্ট ইনক্লুসিভ গভর্নর অব দ্য ওয়ার্ল্ড’, ভারতের ‘ইন্দিরা গান্ধী স্বর্ণস্মারক’, নওয়াব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড (২০১২), শেলটেক অ্যাওয়ার্ডসহ অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পদক ও সম্মাননায় ভূষিত হন ড. আতিউর রহমান।
উল্লেখ, ২০০৯ সালের ১ মে বাংলাদেশ ব্যাংকের দশম গভর্নর হিসেবে তিনি চার বছরের জন্য দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বর্তমানে দ্বিতীয় মেয়াদে গভর্নরের দায়িত্ব পালন করছেন।
/জিএম/এফএইচ/