প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে মেলার উদ্বোধন করবেন বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। বৃহস্পতিবার মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা দর্শণার্থীদের সব ধরনের সুবিধা রেখেই ডিআইএফটি-২০১৬ এর আয়োজন করতে যাচ্ছি। প্রতিদিন প্রায় এক লাখ দর্শণার্থীর আগমণ ঘটবে বলে আমরা আশা করছি।’
মন্ত্রী জানান, রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে দেশের বৃহত্তম এই বাণিজ্য মেলার আয়োজন করেছে।
মেলা প্রাঙ্গণে সুন্দরবন ইকো পার্ক, ডিআইটিএফ-ই-শপ, ছোট আকারের মেডিক্যাল সেন্টার, রক্তদান কেন্দ্র, মসজিদ, তরুণ প্রজন্মের সামনে মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তুলে ধরার জন্য বঙ্গবন্ধু স্মৃতি প্যাভিলিয়ন এবং মেলায় মানসম্মত খাদ্য ও পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে একটি পৃথক ন্যাশনাল কনজুমারার্স রাইটস প্রটেকশন ডাইরেক্টরেট (এনসিআরপিডি) বুথও স্থাপন করা হবে।
এই বাণিজ্য মেলায় বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মান ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ ২১টি দেশ অংশ নেবে। এ বছর নতুন সাতটি দেশ মরিসাস, ঘানা, নেপাল, হংকং, জাপান, মরক্কো ও ভূটান মেলায় অংশ নিচ্ছে।
পূর্ণবয়স্কদের প্রবেশ ফি ৩০ টাকা ও শিশুদের জন্য ২০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এবার মেলায় থাকছে ১১১টি প্যাভিলিয়ন, ৫৭টি মিনি প্যাভিলন, ৮০টি প্রিমিয়ার প্যাভিলন ও ২৭৬টি স্টল।
মেলায় যন্ত্রপাতি, কার্পেট, প্রসাধনী ও সৌন্দর্য সামগ্রী, ইলেক্ট্রিক্যাল ও ইলেক্টনিক, পাট ও পাটজাত পণ্য, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, জুতা, ক্রীড়া সামগ্রী, স্যানিটারি ওয়ার, খেলনা, স্টেশনারী, ঘড়ি, গহনা, সিরামিক সামগ্রী, স্থানীয় পোশাক সামগ্রী, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, ফার্স্ট ফুড, আসবাবপত্র ও হস্তশিল্প ইত্যাদি সামগ্রী স্থান পাবে।
মেলা উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেছেন, “ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ‘বাণিজ্য ও বিনিয়োগ’ সম্প্রসারণের পাশাপাশি গৌরবময় দেশীয় কৃষ্টি ও সংস্কৃতি আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দিতে ভূমিকা রাখবে। বর্তমান বিশ্বে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যবসা-বাণিজ্য প্রধান নিয়ামকের ভূমিকা পালন করছে। রপ্তানিযোগ্য পণ্যের যথাযথ বিপণনের সুযোগ সৃষ্টিসহ রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখা এবং অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটানোর জন্য নতুন পণ্য উৎপাদনে উৎসাহ প্রদানই এ আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলার মূল লক্ষ্য।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘মেলাটি বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সর্বাধুনিক জ্ঞান, প্রযুক্তি ও অগ্রগতির সঙ্গে সংযুক্ত রাখার একটি সময়োচিত পদক্ষেপ। এ মেলায় একদিকে যেমন দেশি-বিদেশি ভোক্তারা আমাদের দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন পণ্যের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে পরিচিত হতে পারবেন, অপরদিকে দেশি উদ্যোক্তারা বিদেশি পণ্য, সর্বশেষ ডিজাইন, স্টাইল ও বিদেশি ক্রেতাদের রুচি, মান-চাহিদা ইত্যাদি বিষয়ে ধারণা লাভ করতে পারবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর যৌথ উদ্যোগে মাসব্যাপী একবিংশতম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা-২০১৬ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন। সূত্র: বাসস।
/এফএস/