দশ সদস্য বিশিষ্ট দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশসমূহের সংগঠন (আসিয়ান) এ উদ্যোগকে ‘মাইলফলক’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
আসিয়ান অর্থনৈতিক সম্প্রদায় (এইসি) একটি একক বাজারে পরিণত হবে। এ বাজারে পণ্য, মূলধন এবং দক্ষ জনশক্তি অবাধে চলাচলে কোনো বাধা থাকবে না। এর ফলে অঞ্চলটি বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণে চীনের সঙ্গে পাল্লা দিতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আসিয়ানে সদস্য রাষ্ট্র সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিবিয়ান বালাকৃঞ্চ বলেন, “নতুন এ জোট এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার পাশাপাশি সব দেশের উন্নয়ন সংঘটনের সুযোগ তৈরি করবে।”
তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ অসম্ভব না হলেও কঠিন। এইসি’কে ‘নো গেইম চেঞ্জার’ উল্লেখ করে গবেষণা জোট ক্যাপিটাল ইকনোমিক্স বলছে, অশুল্ক বাধা এবং অবকাঠামো উন্নয়নসহ প্রধান প্রধান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এ জোট ঘাটতির মুখে পড়তে পারে।
তাদের মতে, সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার প্রথা আসিয়ানে চালু রয়েছে। কমপ্লায়েন্স পূরণে ব্যর্থ হলে জরিমানা, এবং একটি কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার ঘাটতিতে চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় বড় ধরনের সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
/এফএইচ/