ব্যাংকটির ৫০২টি শাখার গ্রাহকরা এই ভোগান্তিতে পড়েছেন। শুধু তাই নয়, এই শাখাগুলোতে গত তিন দিন ধরে সার্ভারে প্রবেশ (লগ-ইন) করতে পারেনি ব্যাংকটির কর্মকর্তারাও। ফলে বন্ধ রয়েছে অন্তঃব্যাংক লেনদেনও।
উল্লেখ্য, বৃহসত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত তফসিলী ব্যাংক সোনালী ব্যাংকের মোট ৭৫টি নিজস্ব এটিএম বুথ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সোনালী ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মোফাজ্জল হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, সার্ভার বিকল হয়ে পড়ায় ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকদের মতো ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও কোন ধরণের লেনদেন করতে পারছে না।
তিনি বলেন, সার্ভার ঠিক করতে ভারত থেকে দুজন তথ্য প্রযুক্তি (আইটি) বিশেষজ্ঞ নিয়ে আসা হয়েছে। তারা ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছেন। আশা করা যাচ্ছে, বুধবারের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।
তিনি উল্লেখ করেন, এই অবস্থার মধ্যেও মঙ্গলবার দুপুরে কিছু কিছু শাখায় সামান্য কিছু কাজ করা সম্ভব হয়েছে।
জানা গেছে, সোনালী ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সলিউশন বা সিবিএস আছে এমন ৫০২টি শাখার অনলাইন কার্যক্রম পরিচালিত হয় সোনালী পোলারিশ ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। ওই প্রতিষ্ঠানটির নেটওয়ার্কিং সার্ভার বিকল হয়ে পড়ায় এর অধীনে বিদ্যমান শাখাগুলোর গ্রাহকরা কোনো অনলাইন সুবিধা পাচ্ছেন না।
সোনালী পোলারিশ ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি লিমিটেড, সোনালী ব্যাংক ও ভারতের পোলারিশ নামে একটি প্রতিষ্ঠানের যৌথ উদ্যোগে গঠিত একটি কোম্পানি।
/জিএম/এফএইচ/