বিডা’র অনুমোদন ছাড়াই রয়েলটি ফি বিদেশে পাঠা‌নো যাবে

বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা’র কেস টু কেস অনুমোদন ছাড়াই এখন থেকে ৬ শতাংশ অর্থ রয়েলটি, টেকনিক্যাল নলেজ ও টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকানিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ফি এবং ফ্রাঞ্চাইজি ফি হিসেবে বিদেশে পাঠানো যাবে। রবিবার (১১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত এক‌টি নি‌র্দেশনা জারি করেছে।

নির্দেশনায় বলা হ‌য়, এখন থে‌কে অনুমোদিত ডিলার ব্যাংকগুলোকে রয়েলটি, টেকনিক্যাল নলেজ/টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকানিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ফি এবং ফ্রাঞ্চাইজি ফি পাঠানোর ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) জারি করা গাইডলাইনের বিধিবিধান অনুসরণ কর‌তে হ‌বে।

প্রসঙ্গত, এ‌তদিন রয়েলটি, টেকনিক্যাল নলেজ ও টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকানিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ফি এবং ফ্রাঞ্চাইজি ফি বি‌দেশে পাঠা‌নোর ক্ষে‌ত্রে সু‌নি‌র্দিষ্ট নি‌র্দেশনা ছিল না। এখন এ বিষ‌য়ে গাইডলাইন দি‌য়ে‌ছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)।

বিডা’র গাইডলাইনের সঙ্গে সংযুক্ত তফসিল-১ অনুযায়ী রয়েলটি, টেকনিক্যাল নলেজ/টেকনিক্যাল নো-হাউ ফি, টেকানিক্যাল অ্যাসিসট্যান্ট ফি বাবদ অর্থ নতুন প্রকল্পের ক্ষেত্রে আমদানি করা যন্ত্রপাতির সিঅ্যান্ডএফ মূল্যের ৬ শতাংশ বিদেশে প্রেরণযোগ্য হবে। বাণিজ্যিক কার্যক্রমে নিয়োজিত প্রকল্পের ক্ষেত্রে আয়কর বিবরণীতে ঘোষিত বিগত বছরের বিক্রয়ের (ভ্যাট ছাড়া) ৬ শতাংশ অর্থ এসব খাতে ব্যয় নির্বাহে বিদেশে প্রেরণ করা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, ফ্রাঞ্চাইজি ফি ও ঠিকাদারের অনুকূলে ফি পাঠানোর বিষয়ে তফসিল-১ এ নির্দেশনা দেওয়া আ‌ছে। পাশাপাশি অগ্রিম ফি পরিশোধের ব্যবস্থাও রয়েছে। অগ্রিম ফি পরিশোধের ক্ষেত্রে বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ব্যবস্থায় অনুসৃত নির্দেশনা পরিপালন করতে হবে।

বিডা’র গাইডলাইন অনুযায়ী, ফি পাঠানোর ক্ষেত্রে রেমিট্যান্স প্রেরণকারীকে একটি মাত্র অনুমোদিত ডিলার ব্যাংক নির্ধারণ করতে হবে। অর্থ পাঠা‌নোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য উৎসে কর, ভ্যাট ও অন্যান্য সরকারি পাওনা আদায় ও পরিশোধ করতে হবে।