দেবপ্রিয়’র ব্যাংক হিসাব তলব

ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যবেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ড. ইরিনা ভট্টাচার্যের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি। ৪ জানুয়ারি সিআইসির সহকারী পরিচালক নাসির উদ্দিন দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে এই দুজনের ব্যাংক হিসাব চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন। পাশাপাশি  সিআইসি তাদের শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ তথ্যও চেয়ে সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লি. (সিডিবিএল)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে চিঠি দিয়েছে। চিঠিতে আগামী রবিবারের (১০ জানুয়ারি) মধ্যে ব্যাংক হিসাবের তথ্য ও বিও একাউন্টের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এনবিআর আইনানুগভাবে যা কিছু করার, তা অবশ্যই করবে। এই অভিজ্ঞতা আমার প্রথম নয়। ২০০৪-০৫ সালেও তৎকালীন বিএনপি সরকারের আমলে অর্থনীতি সম্পর্কে তাদের অপছন্দের বক্তব্য দেওয়ার কারণে আমাকে  এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হয়েছিল। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমিও জানার চেষ্টা করছি, এনবিআর কেন আমার ব্যাংক হিসাব তলব করেছে।
বেসরকারি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীর কাছে পাঠানো চিঠিতে দেবপ্রিয় ও তার স্ত্রী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের একক বা যৌথনামে পরিচালিত ব্যাংক হিসাব, মেয়াদি আমানত হিসাব (এফডিআর ও এসটিডি হিসাবসহ যেকোনও ধরনের বা নামের মেয়াদি আমানত হিসাব), যে কোনও ধরনের বা মেয়াদের সঞ্চয়ী হিসাব, চলতি হিসাব, ঋণ হিসাব, ফরেন কারেন্সি একাউন্ট, ক্রেডিট কার্ড, সঞ্চয়পত্র বা অন্য যেকোনও ধরনের সেভিংস ইন্সট্রুমেন্ট, ইনভেস্টমেন্ট স্কিম বা ডিপোজিট স্কিম বা অন্য যেকোনও ধরনের বা নামের হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত থাকলে ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী ও ঋণের বিপরীতে রক্ষিত জামানতের বিবরণী পাঠাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে আগে ছিল, এখন বন্ধ রয়েছে—এমন হিসাবের তথ্যও পাঠাতে বলা হয়েছে। চিঠি পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে বেসরকারি ব্যাংক ও সিডিবিএলকে তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তথ্য দিতে ব্যর্থ হলে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১২৪(১) অনুযায়ী এককালীন ২৫ হাজার টাকা এবং পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। পাশাপাশি আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ধারা ১৬৪ (সিসি) ধারা অনুযায়ী অর্থদণ্ড ও কারাদণ্ড আরোপে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

চিঠিতে ঠিকানা উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্ল্যাট-বি২, হাউজ-২এ, রোড-৬৩, গুলশান-২। ফ্ল্যাট-বি২, হাউজ-২এ, রোড-৬০, গুলশান-২। হাউজ-১৫৭, লেন-২২, ডিওএইচএস, মহাখালী। হাউজ-৪০/সি, রোড-১১(নতুন) ধানমণ্ডি আ/এ, ঢাকা-১২০৯।

সিডিবিএলে পাঠানো চিঠিতে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য ও তার স্ত্রী ড. ইরিনা ভট্টাচার্য বা তাদের পরিবারের অন্য কোনও সদস্যের একক বা যৌথ নামে যেকোনও বিও হিসাব পরিচালিত বা রক্ষিত হয়ে থাকলে ওই হিসাবের ২০০৮ সালের ১ জুলাই থেকে হালনাগাদ বিবরণী জরুরি ভিত্তিতে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ এর ১১৩(এফ) ধারার ক্ষমতাবলে পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি চিঠিতে পূর্বে ছিল কিন্তু এখন বন্ধ হয়ে গেছে এমন বিও একাউন্টের তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

/এমএনএইচ/