এবারও ভোট ছাড়াই এফবিসিসিআই’র পরিচালকরা নির্বাচিত

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনে (এফবিসিসিআই)সমঝোতার ভিত্তিতে চারজন প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করায়  এবারও ৪৬ জন পরিচালক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেন। ফলে আগের নির্বাচনের মতো এবারও সাধারণ সদস্যদের ভোট দেওয়ার প্রয়োজন পড়ছে না।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের আজিজুল হক, গাইবান্ধা চেম্বারের আবুল খায়ের মোরসেলিন, ফ্লেক্সিবল প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের আক্কাস মাহমুদ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি এন্টারপ্রাইজ মালিক সমিতির মো. আলী জামান মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।  এর ফলে পরিচালক পদের বিপরীতে অতিরিক্ত কোনও প্রার্থী থাকলো না। আগামী মে মাসে সভাপতি ও সহ-সভাপতি পদে নির্বাচন হবে।

এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন বোর্ড সোমবার (২৬ এপ্রিল) ২০২১-২৩ মেয়াদের জন্য সংগঠনের পরিচালনা পর্ষদের চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে।

নির্বাচিত পরিচালকরা তাদের মধ্য থেকে সভাপতি ও ছয়জন সহ-সভাপতি বেছে নেবেন। বেঙ্গল গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের ভাইস চেয়ারম্যান মো. জসিম উদ্দিন এফবিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি হচ্ছেন, এটি মোটামুটি নিশ্চিত। কারণ, সভাপতি পদে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে ইতিমধ্যে সবুজ সংকেত পাওয়া জসিম উদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য কেউ নেই।

২০২১-২৩ মেয়াদের জন্য সংগঠনটিতে মোট পরিচালক পদ ৮০টি। এর মধ্যে এক ভাগে দেশের জেলাভিত্তিক বাণিজ্য সংগঠন বা চেম্বার থেকে ৪০টি পদে পরিচালক হবেন। বাকি পদ পণ্যভিত্তিক ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর জন্য সংরক্ষিত। ৮০ পরিচালক পদের মধ্যে ৪৬টিতে সাধারণ সদস্যরা ভোট দিয়ে নির্বাচন করার সুযোগ পান। বাকি ৩৪টি পদে দেশের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য সংগঠন থেকে মনোনীত পরিচালক হন।

জানা গেছে, চেম্বার ও অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপের ১৭ জন করে ৩৪ জন মনোনীত পরিচালক হওয়ার জন্য আবেদন করেন ৩২ জন ব্যবসায়ী। মনোনীত পরিচালক পদে প্রার্থী দেয়নি গোপালগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)। অন্যদিকে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হওয়ার জন্য চেম্বার গ্রুপের ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে ২৫ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। আর অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে ২৩ পরিচালক পদের বিপরীতে প্রার্থী হন ২৬ জন। পরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) খেলাপি হওয়ায় কে এম আখতারুজ্জামান মনোনীত পরিচালক হওয়ার যোগ্যতা হারালেও পরে প্রার্থিতা ফিরে পান। তিনি অ্যাসোসিয়েশন গ্রুপ থেকে প্রার্থী হয়েছেন।

এফবিসিসিআইয়ের ২০১৯-২১ মেয়াদে নির্বাচনে মোট পদ ছিল ৭২। তার মধ্যে ৪২টি পরিচালক পদে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। তবে পদের বিপরীতের সমান সংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ফলে কারও কোনও প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকায় ভোটের প্রয়োজন হয়নি। সেবারও সভাপতি পদে একক প্রার্থী ছিলেন বর্তমান সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।

এফবিসিসিআইয়ে পরপর দুই মেয়াদে ভোট ছাড়াই নেতৃত্ব নির্বাচন হচ্ছে।  অবশ্য গত ৪ এপ্রিল তৈরি পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর নেতৃত্ব নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট হয়েছে।