সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যের দাম বাড়ানোর দাবি

সিগারেটসহ সকল তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে দাম বাড়ানোর দাবিতে দেশব্যাপী ভার্চুয়াল মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

বুধবার (৫ মে) একযোগে দেশের সকল বিভাগের শতাধিক নাগরিকের উদ্যোগে অভিনব এই ভার্চুয়াল মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

টোব্যাকো ফ্রি উই’র সহযোগিতায় তামাকবিরোধী সংগঠন ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ভয়েস, ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন, স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশন, উন্নয়ন সমন্বয়, ডর্প এবং প্রজ্ঞা সম্মিলিতভাবে এই কার্যক্রমটি বাস্তবায়ন করছে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা’র (প্রগতির জন্য জ্ঞান) নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের অবস্থান থেকে ‘তামাকপণ্যে বাড়লে কর--বাঁচবে তরুণ, দেশ হবে স্বনির্ভর’ এবং ‘দাম বাড়ান তামাকের, জীবন বাঁচান আমাদের’ ফেস্টুন হাতে ছবি তুলে তাদের নিজস্ব ফেসবুকে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে আপলোড করেন।

অভিনব এই মানববন্ধন থেকে সুনির্দিষ্ট করারোপের মাধ্যমে তামাকপণ্যের দাম তরুণ ও স্বল্প আয়ের মানুষদের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নেওয়ার দাবি জানান তারা।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে স্বাস্থ্য সুরক্ষা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. হাবিবে মিল্লাত বলেন, ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ও সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায়, তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। তামাকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে মুক্তি পেলে অর্থনৈতিকভাবে আমরা আরও বেশি স্বাবলম্বী হতে পারবো।

বেসরকারি সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেছেন, তামাকপণ্যে আরও কার্যকর করারোপের মাধ্যমে এসব ক্ষতিকর পণ্যকে মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে নিতে হবে। বিশেষত দরিদ্র মানুষ যেন তামাকপণ্য ক্রয় করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে এমন উদ্যোগ নিতে হবে।

প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের জানিয়েছেন, আমাদের তামাক কর কাঠামো ঢেলে সাজাতে হবে এবং এক্ষেত্রে তামাকপণ্যে সুনির্দিষ্ট করারোপ পদ্ধতি হতে পারে একটি কার্যকর উপায়।

তামাকবিরোধী সংগঠনগুলোর দাবি, তামাক কর ও দাম বাড়ালে প্রায় ১১ লাখ প্রাপ্তবয়স্ক ধূমপায়ী ধূমপান ছেড়ে দিতে উৎসাহিত হবেন। দীর্ঘমেয়াদে ৩ লাখ ৯০ হাজার বর্তমান ধূমপায়ী এবং ৪ লাখ তরুণের অকাল মৃত্যুরোধ সম্ভব হবে এবং সিগারেট থেকে সম্পূরক শুল্ক, স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ এবং ভ্যাট বাবদ সরকারের অতিরিক্ত আয় হবে ৩ হাজার ৪০০ কোটি টাকা।