এলপিজির দাম নির্ধারণে ৭ জুলাই আবার গণশুনানি

দেশে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস-এলপিজির দাম নির্ধারণ করা শুরু করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ১২ এপ্রিল প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে এই দাম নির্ধারণ করা হয়। তিন মাসের মাথায় আবারও গণশুনানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন। আগামী ৭ জুলাই শুনানির দিন নির্ধারণ করেছে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, লাইসেন্সধারীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন আইনের ৩৪ (৬) ধারা অনুযায়ী এই শুনানি করা হবে। সেখানে বলা হয়েছে, লাইসেন্সধারীরা আবেদন করলে শুনানি করে সবার মতামত নেয়া হবে। সেই অনুযায়ী তারিখ নির্ধারণ করে গণবিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত ১২ এপ্রিল দেশে প্রথমবারের মতো এলপিজির মূল্য নির্ধারণ করে দেয় বিইআরসি। পরে প্রতি মাসেই আমদানি মূল্য বিবেচনায় নিয়ে এলপিজির দাম সমন্বয় করে আসছিলো বিইআরসি। কিন্তু এলপিজি ব্যবসায়ীরা শুরু থেকেই ঘোষিত মূল্যের বিরোধিতা করে আসছিলেন। এমনকি বিইআরসি নির্ধারিত মূল্য কার্যকর করেনি তারা।

বিইআরসির এক কমকর্তা জানান, এলপিজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-লোয়াব বারবার বলছিলো- আমরা যে দাম নির্ধারণ করছি তারসাথে পরিবহন ব্যয়সহ অন্য চার্জগুলো আমরা ধরেছি তা অনেক কম। তখন আমরা লাইসেন্সধারীদের কাগজপত্র জিমা দিতে বলি। কিন্তু গত তিনমাস তারা কোনো কাগজপত্র না দিয়ে শুধু বাইরে বলে বেরিয়েছে কমিশন তাদের কথা শুনছে না। তারা মজুতকরণ, বোতলজাতকরণ, ডিলার ও খুচরা পর্যায়ে মাশুলেও পরিবর্তন চায়। সবশেষ ২৮টি কোম্পানির মধ্যে ১৮টি কোম্পানি মূল্য পুনর্নির্ধারণের জন্য চিঠি দিয়েছে বিইআরসিকে। এ কারণেই আবার গণশুনানিতে যাচ্ছি আমরা।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ৭ জুলাই রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের শহীদ এ কে এম শামসুল হক খান মেমোরিয়াল হলে শুরু হবে এই শুনানি। এক দিনে যদি আলোচনা শেষ করা না যায় তাহলে আরো একদিন অর্থাৎ ৮ জুলাইও রাখা হয়েছে শুনানির সুযোগ। চলতি মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে আগ্রহী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তাদের মতামত বিইআরসিকে পাঠানো যাবে। এছাড়া শুনানিতে অংশ নিতে চাইলেও ৩০ জুনের মধ্যে জানাতে হবে।

এর বাইরে করোনা পরিস্থিতির কারণে যদি সরাসরি শুনানি করা না যায় তাহলে একই দিনে (৭ জুলাই) বিকল্প উপায়ে শুনানি করা হবে বলেও জানিয়েছে কমিশন।