স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা দেড় শতাংশ হারে ভ্যাট দিতে চান

স্বর্ণ বিক্রিতে দেড় শতাংশ হারে ভ্যাট অথবা শুধু গয়নার মজুরির উপর ১৫% ভ্যাট দিতে চান ব্যবসায়ীরা।

গত ৬ জুন অর্থমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এই দাবি জানায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলারি সমিতি (বাজুস)।

বাজুসের সভাপতি এনামুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, জুয়েলারি একটি প্রাচীন সম্ভাবনাময় ও স্পর্শকাতর শিল্প হওয়া সত্ত্বেও ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে এই শিল্পকে রক্ষার কোনও দিক নির্দেশনা নেই। জুয়েলারি শিল্পের বিকাশের লক্ষ্যে সংগঠনটি অর্থমন্ত্রীর কাছে দুটি প্রস্তাবনা দিয়েছে। সংগঠনটি জানায়, স্বর্ণ মূল্যবান ধাতু বলে গ্রাহক পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট বড় অঙ্কের অর্থে পরিণত হয়। ফলে এদেশের স্বল্প-মধ্যম আয়ের গ্রাহকরা ভ্যাট প্রদানে অনীহা প্রকাশ করছেন। একইভাবে উচ্চবিত্ত গ্রাহকেরা উচ্চহারের ঘাটকে প্রত্যাখ্যান করে পর্যটক সুবিধা গ্রহণ করে গয়না ক্রয় করছেন।

সংগঠনটি বলছে,  বিশ্বব্যাপী হ্যান্ড মেইড জুয়েলারি তৈরিতে এদেশের কারিগররা শ্রেষ্ঠ হওয়া সত্ত্বেও অতিরিক্ত ভ্যাটের কারণে একদিকে যেমন দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে, তেমনিভাবে দেশীয় দোকানগুলো দিনদিন ক্রেতাশূন্য হয়ে যাচ্ছে। আর সরকার হারাচ্ছে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব। এ অবস্থায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো জুয়েলারি খাতে সর্বমোট দেড় শতাংশ হারে ভ্যাট অথবা শুধু গয়নার মজুরির উপর ১৫% ভ্যাট আরোপ করা হলে সংশ্লিষ্টরা রক্ষা পাবে।

জুয়েলারি সমিতি চিঠিতে আরও বলেছে, আমদানিকৃত গোল্ড বার (স্বর্ণ অলংকার তৈরীর কাঁচামাল) এদেশের জুয়েলার্সরা ৬.৩  ফরম পূরণের মাধ্যমে ৫% ভ্যাট দিয়ে ডিলারদের কাছ থেকে স্বর্ণ কেনে। পরবর্তীতে ক্রেতা সাধারণের কাছ থেকে বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট আহরণ করে সরকারি কোষাগারে জমা দেয়। কিন্তু জুয়েলার্সরা ক্রয়কৃত গোল্ডবারের উপকরণ কর রেয়াত সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বস্তুত এর ফলে জুয়েলারি খাতে ১০ শতাংশ ভ্যাট বিদ্যমান। যা টাকার অঙ্কে অত্যন্ত বেশি।

চিঠিতে ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেটে উল্লেখিত প্রস্তাবনাসমূহ বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়।