কারখানা খোলা রাখা নিয়ে যা বললেন বিজিএমইএ’র সভাপতি

বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে কারখানাগুলোকে আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ। মঙ্গলবার (২২ জুন ) এক ভিডিও বার্তায় বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এ কথা জানান।

তিনি বলেন, ‘কারখানাগুলো যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা, তা বিজিএমইএ থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে।  বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আমরা সন্তোষজনক ফলাফলও পাচ্ছি। তারপরও  বর্তমান পরিস্থিতিতে করোনার ভয়াবহতা উপলব্ধি করে কারখানাগুলোকে আরও কঠোরভাবে মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তিনি উল্লেখ করেন, এক্ষেত্রে সরকার যদি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত  কোনও গাইডলাইন দেয়, সেটি মেনে আমরা কারখানা চালু রাখবো।

ফারুক হাসান বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সরকার নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরসহ সাতটি জেলার লকডাউন আরোপ করেছে। আমরা মনে করি, বর্তমান পরিস্থিতিতে জনগণের স্বার্থে সরকার একটি অত্যন্ত সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। তবে আমরা এও মনে করি, অর্থনীতির স্বার্থে তৈরি পোশাক খাতকে এই লকডাউনের  আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।’

ফারুক হাসান বলেন, ‘আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, আইএলও ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শের আলোকে বিজিএমইএ সদস্যভুক্ত কারখানাগুলোর জন্য স্বাস্থ্যবিধির প্রটোকল প্রণয়ন করেছে। কারখানাগুলো কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালিত হচ্ছে। কারখানা গুলো যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে কিনা, তা বিজিএমইএ থেকে প্রতিনিয়ত মনিটরিং করা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে আমরা সন্তোষজনক ফলাফল পাচ্ছি।’ গার্মেন্টস শ্রমিকদের করোনা আক্রান্তের হার প্রায় শূন্যের কোঠায় বলেও জানান তিনি।