রাজধানীর কোরবানির পশুর হাটগুলোতে পর্যাপ্ত গরু থাকলেও ক্রেতা নেই। দাম না পেয়ে কম দামে গরু ছেড়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন, কেনা দামের চেয়ে প্রতিটি গরুতে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা করে ঘাটতি দিতে হচ্ছে তাদের। এ অবস্থায় গরু বিক্রি না করে আবার যদি গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যেতে হয় তাহলে আরও বেশি খরচ পড়ে যাবে। নগরীর কোরবানি পশুর হাটগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ফরিদপুরের ভাঙ্গা করে ১৪টি গরু নিয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শাহজাহানপুর মুক্তি সংঘের মাঠে এসেছেন মোহাম্মদ দুলাল মিয়া। তার ৬টি গরু এখনও অবিকৃত রয়েছে। গত দুই দিনে বিক্রি হওয়া প্রতিটি গরুতে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা করে লাভ হলেও আজ সে চিত্র ভিন্ন। যে গরু ৮০ হাজার টাকা বিক্রি করা হয়েছে, সেই গরু এখন ৫০ হাজার টাকাও বলছে না।
একই কথা বলেন রংপুরের ব্যবসায়ী বাহার মিয়া। তিনি বলেন, ‘আমার কান্না ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। ২২টি গরু এনেছি। এখন পর্যন্ত বিক্রি করেছি ১০টি। তাও কেনা দামের চেয়ে কমে। বাকিগুলোর দাম বলছে কেনা দামের চেয়েও অনেক কম। এখন বাড়ি নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
আরও পড়ুন:
‘কম দামেই’ গরু ছেড়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা