ডিজিটাল হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হলো ৩ লাখ ৮৭ হাজার

কোরবানি ঈদের আগের দিন (২০ জুলাই) পর্যন্ত সারাদেশের ডিজিটাল হাটে পশু বিক্রি হয়েছে ৩ লাখ ৮৭ হাজার ৫৭৯টি। যার মূল্য ২ হাজার ৭৩৫ কোটি ১১ লাখ ১৫ হাজার ৬৭৮ টাকা। এ দিন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে (ডিজিটাল হাটে) কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে ৩৮ হাজার ১৫১টি। এর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ২৯ হাজার ১৪৪ এবং ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ৯ হাজার ৭টি। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের ওয়েবসাইট থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ডিজিটাল হাটে বিক্রিত কোরবানির পশুর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা ২ লাখ ৯৬ হাজার ৭১০টি এবং ছাগল ও ভেড়া মিলিয়ে ৯০ হাজার ৮৬৯টি। যদিও ডিজিটাল হাটে কোরবানির পশুর ছবি ও তথ্য আপলোড করা হয় ১৮ লাখ ১২ হাজার ২০১টির। 

এদিকে আইসিটি বিভাগ, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ই-ক্যাব যৌথ উদ্যোগে অনলাইনে অয়োজন করে কোরবানি পশুর ডিজিটাল হাট। এ হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে, যা সন্তোষজনক বলে মনে করছেন এর আয়োজকরা।

ই-ক্যাবের মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর আলম শোভন জানান, মঙ্গলবার (২০ জুলাই) পর্যন্ত ডিজটাল হাটে এক হাজার ৫৪৪টি কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে গরু ও মহিষের সংখ্যা এক হাজার ৪৩৭টি এবং ছাগল ও ভেড়ার সংখ্যা ১০৭টি। তিনি আরও জানান স্লটারিংয়ের (ফুল প্রসেস সার্ভিস) জন্য ২৬৮টি কোরবানির পশু বুকিং হয়েছে। এই উদ্যোগে ৫০০টি কোরবানি পশুর স্লটারিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়। আর এসক্রো পদ্ধতিতে কোরবানির পশু বিক্রি  হয় ২৩টি।

সরকারের চালু করা সমন্বিত ডিজিটাল হাট হলো (www.digitalhaat.net)। এই হাটের লিংকে গেলে কোরবানির পশু নিয়ে দেশব্যাপী আয়োজিত সব হাট ভিজিট করা যায়। 

ডিজিটাল হাটের উদ্বোধনী দিনে ঘোষণা দেওয়া হয় দেশের কোরবানিযোগ্য মোট পশুর মধ্যে ২৫ শতাংশের ছবি ও তথ্য ডিজটাল হাটে আপলোড করা হবে। যদিও আপলোড করা হয় ১৮ লাখ ১২ হাজার ২০১টি পশুর তথ্য। প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এবার সারাদেশে কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ১৯ লাখ।