পশুর চামড়া সংগ্রহে প্রস্তুত পোস্তার আড়ত ও সাভারের ট্যানারি 

করোনা মহামারির মধ্যেই উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। চলছে পশু কোরবানি। এবার কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়ে রাখার কথা জানিয়েছেন রাজধানীর পুরান ঢাকার পোস্তা এলাকার কাঁচা চামড়ার আড়ত ও সাভারে অবস্থিত ট্যানারির মালিকরা। 

বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহে আমরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছি। চামড়া সংগ্রহে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন, লবণ মজুদ ও কর্মী-শ্রমিক প্রস্তুত রয়েছে। 

তিনি বলেন, মাঠ পর্যায় থেকে ট্যানারিগুলো মূলত ঢাকা ও ঢাকার পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে সংগ্রহ করা কাঁচা চামড়া প্রক্রিয়াকরণ করবে। এজন্য এসব এলাকার মাদ্রাসাভিত্তিক যেসব উদ্যোক্তা চামড়া সংগ্রহ করবেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আর্থিক যোগান দেওয়া হয়েছে। এবার সবমিলিয়ে প্রায় ৯০ লাখ চামড়া সংগ্রহ করার চেষ্টা থাকবে বলেও জানান তিনি। 

ইতোমধ্যে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে আসা চামড়া প্রক্রিয়াকরণে প্রয়োজনীয় লবণ এবং কর্মী-শ্রমিকদের প্রস্তুত করা হয়েছে।
 
এদিকে ঢাকাভিত্তিক ট্যানারিগুলো পরে দেশের অন্যান্য আড়ত থেকে আসা লবণ দেওয়া চামড়া সংগ্রহ করবে। চামড়া আড়তদার কফিল আহমেদ বলেন, আমরাও প্রস্তুত। 
 
প্রসঙ্গত, এবার আড়ত ও ট্যানারিগুলোর জন্য ঢাকায় লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দর ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গত বছর এই দর ছিল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। ঢাকার বাইরে লবণযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরু বা মহিষের চামড়ার দাম হবে ৩৩ টাকা থেকে ৩৭ টাকা, গতবছর যা ২৮ থেকে ৩২ টাকা ছিল।

এ ছাড়া দেশে লবণযুক্ত খাসির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১৫ থেকে ১৭ টাকা, আর বকরির চামড়া প্রতি বর্গফুট ১২ থেকে ১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।