গভর্নর বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতির অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছে। বর্তমানে দেড় শতাধিক দেশে কর্মরত প্রায ৯৫ লাখ প্রবাসী বছরে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন ১৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি। রেমিট্যান্স আহরণে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে সপ্তম এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে দ্বিতীয়। বৈদেশিক অর্থনৈতিক খাতের এই শক্তির জোরেই আমরা ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতুর মতো বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করে চলেছি। তিনি আরও বলেন, সদ্য স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশকে ৭ কোটি মানুষের খাদ্যের জন্য বিদেশে হাত পাততে হতো। এখন আর সেই পরিস্থিতি নেই। বর্তমানে তিন কোটি ৮৪ লাখ টন খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয় বরং বাংলাদেশের ওই ঝুড়ি এখন খাদ্য ও বিদেশি মুদ্রায় পরিপূর্ণ হয়ে উপচে পড়ছে।
অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে রাজশাহী সদর আসনের সংসদ সদস্য এবং অর্থনীতি বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘অর্থনৈতিক শক্তি এখন আর কোনও দেশের কুক্ষিত নয় এটা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। তাই চাইলেই এখন একটি দেশ অন্য কোনও দেশের ওপর অর্থনীতির দাপট দেখাতে পারবে না। পৃথিবীর অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন আসছে আর সেটা খুব দ্রুত।
/এমএনএইচ/