‘বেসরকারি খাতও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে’

বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে যারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করেছিল সেই সব সামরিক স্বৈর শাসকরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দিকে কোনও নজর দেয়নি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসেন তখন থেকেই ভঙ্গুর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করলো। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এসেই বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেন। যার ফলে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতও এখন বিদ্যুৎ উৎপাদনে অবদান রাখতে পারছে।

প্রতিমন্ত্রী মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট)  বিদ্যুৎ বিভাগ ও জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের আয়োজনে ‘জাতীয় শোক দিবস’ উপলক্ষে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত উন্নয়নে বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, সর্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস ও দূরদর্শিতা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাজ করলে দ্রুত কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছে যাবো। রূপকল্প ২০৪১ নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই বাস্তবায়ন করতে বঙ্গবন্ধুর দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তাবায়নে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোনও বিকল্প নেই। 

বর্তমান সংকটের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বৈশ্বিক জ্বালানি বাজারে যে ঊর্ধ্বমুখী মূল্য তার কারণে বাংলাদেশও ভুক্তভোগী। তবে এটা সাময়িক সময়ের জন্য। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি কমাতে শেখ হাসিনার সরকার কাজ করছে। এ বছরের শেষ নাগাদ বৈশ্বিক পরিস্থিতি ভালো হলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য সহনীয় পর্যায় চলে আসবে।

প্রতিমন্ত্রী আলোচনাকালে ১৯৭৫ সালের ৯ আগস্ট শেল অয়েল হতে ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে দেশীয় কোম্পানির নিকট হস্তান্তর প্রসঙ্গে বলেন, দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে এবং জ্বালানির যোগানের ক্ষেত্রে এই গ্যাসক্ষেত্রগুলো বিশাল অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশের সংবিধানের ১৬ নং অনুচ্ছেদে ‘গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা’ সন্নিবেশ করে  জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান বিদ্যুৎ খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নতুন এক অগ্রযাত্রা শুরু করেছিলেন।

ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মাহবুব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ সচিব হাবিবুর রহমান, বিপিসির চেয়ারম্যান এ বি আম আজাদ,  পিডিবি’র চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান ও পাওয়ার সেলের ডিজি মোহাম্মদ হোসাইনসহ দফতরগুলোর প্রধানরা সংযুক্ত ছিলেন।