ড্যাপ বাস্তবায়ন বেশ কঠিন: এফবিসিসিআই

পরিকল্পিত আবাসন ও উন্নত রাজধানী গড়তে নতুন বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা বা ড্যাপ-এর কার্যকারিতা নিয়ে রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞার সাথে বৈঠকে করেছেন এফবিসিসিআইর প্রতিনিধিদল।

এতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি-এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু, রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং বিষয়ক এফবিসিসিআই স্ট্যান্ডিং কমিটির কো-চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভূঁইয়া মিলনসহ এ খাতের প্রতিনিধিরা। 

সোমবার (৭ নভেম্বর) রাজউক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু নতুন ড্যাপে নাগরিক সুবিধা সম্পন্ন শহর গড়তে বিভিন্ন পরিকল্পনার উল্লেখ থাকায় রাজউকের প্রতি ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ড্যাপ একটি বিশদ পরিকল্পনা। এর প্রণয়ন যেমন দুরূহ, বাস্তবায়নও বেশ কঠিন। তবে টেকসই ও বাসযোগ্য রাজধানী নিশ্চিতে মাস্টারপ্ল্যান, ড্যাপ বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দক্ষ ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কারিগরি সদস্যের সমন্বয়ে রাজউকের বোর্ড পুনর্গঠন, ড্যাপে এলাকাভিত্তিক তথ্য-উপাত্ত থাকা, ফ্লোর এরিয়া রেশিও (এফএআর-ফার) বাড়ানো, জমির পরিমাণ সীমিত থাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ, ডেভেলপারসহ সংশ্লিষ্টদের নকশা পাওয়ার সময় নির্দিষ্টকরণ, রিয়েল এস্টেট সংক্রান্ত আইন/বিধিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে রিহ্যাবকে সম্পৃক্তকরণসহ বেশকিছু প্রস্তাব তুলে ধরেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি জানান, আবাসন ব্যবসায়ী, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতিসহ স্টেকহোল্ডারদের সাথে অতীতে ব্যাপক আলোচনার ভিত্তিতেই এসব প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে।

রাজউক চেয়ারম্যান মো. আনিছুর রহমান মিঞা বলেন, পরিবর্তন বা রূপান্তর মানেই চ্যালেঞ্জ। সকল পরিবর্তনেই লাভবান হওয়ার পাশাপাশি কিছু সংখ্যক লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় চেয়ারম্যান জানান, আগামী বছরের আগস্টের মধ্যে সকল নকশার আবেদন আগের নিয়মে অনুমোদন দেওয়া হবে এবং আগামী বছরের আগস্টের আগে যেসব আবাসন ব্যবসায়ী জমির মালিকদের সাথে রেজিস্টার্ড চুক্তি করেছেন তাদের ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এছাড়া রাজউক কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে অভিযুক্ত ভবন ভাঙ্গার অভিযান প্রসঙ্গে রাজউক চেয়ারম্যান এফবিসিসিআইর নেতৃত্বে রিহ্যাব ও বিএলডিএ-এর অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি কমিটি গঠন করে বেসরকারি আবাসন ব্যবস্থাপনা তদারকি করার পরামর্শ দেন।

নতুন ড্যাপ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর নগরবাসী ও আবাসন শিল্পের কল্যাণে পরে আলোচনার মাধ্যমে সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান রাজউকের নগর পরিকল্পনাবিদ মো. আশরাফুল ইসলাম।