কমেছে চালের দাম, সবজি কিছুটা বাড়তি

এক সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগি-সবজিসহ দৈনন্দিন বাজারে বেশ কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। এখন থেকেই দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নিলে আসন্ন রোজার মাসে জিনিসপত্র ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা করেছে ক্রেতারা। শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এমন তথ্য জানা যায়।

শীতের মৌসুমেও সবজির দাম চড়া। বাজারে শিম-টমেটো ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চালকুমড়া প্রতিটি ৫০ থেকে ৬৫ টাকা, লাউ আকারভেদে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এবং বাঁধাকপি ও ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, মিষ্টিকুমড়া ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এছাড়া করলার কেজি ১২০ টাকা, কচুর লতি ৮০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ধুন্দুল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, শসা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা ও গোল বেগুন ৫০ থেকে ৭০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ থেকে ৬৫ টাকা, পটল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০ থেকে ৩০ টাকা এবং লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দামও কেজিতে বেড়েছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আজকের বাজারে কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ থেকে ১০০ টাকা। বাজারে পেঁয়াজের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, রসুন ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, আদা ১২০ থেকে ১৫০ টাকা, চায়না আদা ২৩০ থেকে ২৪০ টাকা, খোলা চিনি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা, খোলা আটা ৬০ টাকা, প্যাকেট আটা ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ইন্ডিয়ান মসুর ১২০ থেকে ১২৫ টাকা, লবণ ৩৮ থেকে ৪০ টাকা, সয়াবিন তেলের লিটার ১৮৭ টাকা এবং লবণের কেজি ৩৮ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগি প্রতি কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে বেড়ে ১৮০ টাকা হয়েছে। সোনালি মুরগি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

ডিমের দামও ৫ থেকে ৭ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বাজারে ফার্মের মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ১৩২ টাকায়, হাঁসের ডিম ২১০ থেকে ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ১৯০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারগুলোয় কিছুটা কমেছে চালের দাম। আটাশ, নাজিরশাইল ও আমন চালের দাম কেজিতে কমেছে ৩ থেকে ৪ টাকা। তবে সরবরাহ কম থাকায় পোলাওর চালের দাম মানভেদে কেজিতে ১৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত বাজার তদারকির দাবি জানিয়ে ক্রেতারা বলেন, 'প্রতিনিয়তই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। সামনে রোজার মাস আসছে। এখন থেকেই যদি দাম নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হয় তাহলে আগামীতে সাধারণ মানুষের জিনিসপত্র ক্রয় সাধ্যের বাইরে চলে যাবে।'