বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত থাকবে: পিটার হাস

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, ‘আমরা বাংলাদেশে বিনিয়োগে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে, এই বিনিয়োগের ধারা অব্যাহত থাকবে।’ মার্কিন কোম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী। তবে রেগুলেটরি বডি শক্তিশালী হওয়া খুবই দরকার বলে মনে করেন তিনি।

বুধবার (১৪ মার্চ) নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ইউনিক মেঘনাঘাট পাওয়ার লিমিটেডের (ইউএমপিএল) ৫৮৪ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্রকল্প পরিদর্শন করার সময় এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের অর্থনৈতিক ইউনিটের প্রধান জোসেফ গিবলিন, ইউএমপিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জহির উদ্দিন মোল্লা এবং জিই (জেনারেল ইলেকট্রিক) গ্যাস পাওয়ারের দক্ষিণ এশিয়ার সিইও দীপেশ নন্দা এই সফরে পিটার হাসের সঙ্গে ছিলেন।

নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৫৮৪ মেগাওয়াট গ্যাস-ভিত্তিক কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য স্ট্র্যাটেজিক ফাইন্যান্স লিমিটেড, ইউনিক হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টস লিমিটেড এবং জিইর কনসোর্টিয়াম ২০১৮ সালের ২৫ জুন এ প্রকল্পের ঠিকাদার বা ইপিসি নিযুক্ত করে জিইকে। পরবর্তী পর্যায়ে নেব্রাস পাওয়ার কিউপিএসসির প্রতিষ্ঠান (নেব্রাস পাওয়ার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্ট বি.ভি) ২৪ শতাংশ ইক্যুইটি অংশীদারত্ব নিয়ে প্রকল্পে যুক্ত হয়।

চৌধুরী নাফিজ সরাফাত বলেন, ইউএমপিএল, জিই এবং নেব্রাসসহ আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের সহযোগিতায় সার্ভ, এআইআইবি, ডিইজি এবং ওপেক তহবিল থেকে প্রকল্পে বিনিয়োগ এসেছে। এই বিনিয়োগ এখানে বিশ্বমানের অবকাঠামো নির্মাণে সাহায্য করেছে। এই বিদ্যুৎকেন্দ্র বাংলাদেশের জনগণকে পরিবেশসম্মত, নির্ভরযোগ্য এবং সাশ্রয়ী মূল্যের বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে।

তিনি আরও জানান, এটি একটি পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎ প্রকল্প। কেন্দ্রটি অন্যান্য বিদ্যমান কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্টের তুলনায় কম গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গত করবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

দীপেশ নন্দা বলেন, জিই গ্যাস পাওয়ার বাংলাদেশে সাশ্রয়ী, নির্ভরযোগ্য এবং টেকসই বিদ্যুৎ উৎপাদনে নতুন ও আধুনিক প্রযুক্তি আনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জিই বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে বড় অবদান রেখে চলেছে। জিই ইউএমপিএলের প্রকল্পের অংশীদার হতে পেরে গর্বিত। কেন্দ্রটিতে জ্বালানি প্রাকৃতিক গ্যাস কম ব্যবহার হবে। এতে জ্বালানি কম ব্যবহার হওয়ায় গ্যাস বেঁচেও যাবে। কেন্দ্রটিতে উৎপাদিত বিদ্যুৎ প্রায় সাত লাখ বাড়িতে সরবরাহ করা সম্ভব হবে।