সৌদি আরবকে আরও বেশি বাংলাদেশি কর্মী নেওয়ার আহ্বান ঢাকা চেম্বারের

সৌদি আরবের আল মদিনা আল মনোয়ারা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি-র সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আলোচনা করেছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)। সম্প্রতি মদিনা চেম্বারের কার্যালয়ে এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বাংলাদেশ থেকে বিশেষ করে লজিস্টিক, অবকাঠামো, তথ্য-প্রযুক্তি ও আউটোর্সিং প্রভৃতি খাতে আরও বেশি হারে দক্ষ মানবসম্পদ নেওয়ার জন্য মদিনা চেম্বারের উদ্যোক্তাসহ সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান ডিসিসিআই-এর নেতারা।

দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তারের নেতৃত্বে ৬১ সদস্য বিশিষ্ট বেসরকারি খাতের বৃহৎ বাণিজ্য প্রতিনিধি দলটি সৌদি আরব সফর করছে।

আলোচনা সভায় ডিসিসিআই সভাপতি ব্যারিস্টার মো. সামীর সাত্তার বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরেই বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি সৌদি আরবের বিভিন্ন খাতে নিয়োজিত আছেন। বাংলাদেশের মোট রেমিট্যান্সের প্রায় ৩০ শতাংশই সৌদি আরব হতে আসে।’

তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য সেবা, পর্যটনসহ অন্যান্য সামাজিক সেবা খাতে সৌদি উদ্যোক্তারা বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানাবিধ প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করছে, যেগুলোর সুবিধা গ্রহণ করে সৌদি ব্যবসায়ীরা বিনিয়োগে এগিয়ে আসতে পারে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ পরবর্তী সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য বাজার সম্প্রসারণ খুবই জরুরি। সৌদি আরবের বাজারে বাংলাদেশি পণ্য রফতানিতে এগিয়ে আসার জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। 

মদিনা চেম্বারের সহ-সভাপতি ড. খালিদ আব্দুল কাদের দাখাল জানান, ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, নীতি সহায়তা ও উন্নত সেবা প্রদানের মতো বেশকিছু অগ্রাধিকারমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, দুই দেশের ব্যবসায়িক কার্যক্রম আরও বৃদ্ধিতে তার চেম্বার কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণে সচেষ্ট হবে। 

তিনি জানান, সৌদি আরবের মোট জিডিপিতে মদিনার অবদান প্রায় ৭ শতাংশ এবং এখানে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ কার্যক্রম সম্প্রসারণের সুযোগ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এমতাবস্থায় তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, সিরামিক, পর্যটন, এগ্রো-প্রসেসিং, তৈরি পোষাক প্রভৃতি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে তিনি দুই দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে যোগাযোগ আরও বাড়ানোর উপর জোরারোপ করেন। 

ঢাকা চেম্বারের সহ-সভাপতি এস এম গোলাম ফারুক আলমগীর (আরমান), সহ-সভাপতি মো. জুনায়েদ ইবনে আলী, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরাসহ প্রতিনিধি দলের সদস্যরা এসময় উপস্থিত ছিলেন।