বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণে সম্ভাবনাময় এলাকা জাপান

জাপান বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্প্রসারণের জন্য একটি সম্ভাবনাময় এলাকা। পণ্য ছাড়াও সেবা ও বিনিয়োগ খাতেও জাপানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে অর্থনেতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) সই করতে জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

মন্ত্রণালয়ে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ বর্তমান সরকারের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রার একটি উল্লেখযোগ্য অর্জন। এ অর্জন বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তে তৈরি এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টির পাশাপাশি বেশ কিছু চ্যালেঞ্জও তৈরি করবে। যার মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশে পণ্য রফতানিকালে শুল্কমুক্ত কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা ২০২৬ সালের পরে হারানো অন্যতম।

এতে বাংলাদেশের রফতানি পণ্য ওই সব দেশের বাজারে প্রবেশের সময় সাধারণভাবে আরোপিত শুল্কের সম্মুখীন হতে হবে। ফলে ওই সব দেশে বাংলাদেশের রফতানি বাজার সংকোচনের শঙ্কার কথা জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ পরবর্তী সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে বাংলাদেশের রফতানি বাজার সংরক্ষণ, সম্প্রসারণ ও বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাওয়ার লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন দেশ ও ট্রেড ব্লকের সঙ্গে আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি সম্পাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

জাপান বিশ্বের তৃতীয় বৃহৎ অর্থনীতের দেশ এবং এটি বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ জাপান থেকে ২০২৯.৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করে। অন্যদিকে, বাংলাদেশ ১৯০১.৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য জাপানে রফতানি করে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের অংশ হিসেবে জাপান ও বাংলাদেশ যৌথভাবে দুই দেশের মধ্যে সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনা করছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ডিসেম্বর দুই দেশ যৌথ সম্ভাব্যতা সমীক্ষা পরিচালনার বিষয়ে ঘোষণা দেয়। গত ২৫ থেকে ২৮ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর জাপান সফরকালে উভয় দেশ দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্ককে কৌশলগত অংশীদারিত্বে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জয়েন্ট স্টাডি গ্রুপ প্রতিবেদন দুই দেশের বিভিন্ন খাতের বিদ্যমান অবস্থা পর্যালোচনা করেছে। সরকারি, বেসরকারি, একাডেমিয়া ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ ও সম্পৃক্তার মাধ্যমে এই প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়েছে।