সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি বাস্তবায়নে আরও ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করেছে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। এর ফলে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে সর্বমোট ২৪টি ব্যাংক এখন এই কর্মসূচির অংশীদার হলো।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক সই হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থসচিব মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট ১২ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যে ব্যাংকগুলোর সঙ্গে নতুন করে সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, সেগুলো হলো— এবি ব্যাংক, আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আইএফআইসি ব্যাংক, মিডল্যান্ড ব্যাংক, মধুমতি ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক, প্রিমিয়ার ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক এবং ট্রাস্ট ব্যাংক।
এই সমঝোতা স্মারকের ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো সর্বজনীন পেনশনের আওতায় নিবন্ধন, চাঁদা গ্রহণ ও অন্যান্য সেবা প্রদানে সহায়তা করতে পারবে। গ্রাহকেরা ব্যাংকের নির্ধারিত অ্যাপ ব্যবহার করে সহজেই অনলাইনে নিবন্ধন ও চাঁদা দিতে করতে পারবেন।
এর আগে জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ আরও ১২টি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক সই করেছিল। এসব ব্যাংক হলো— সোনালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি), রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক (রাকাব), ব্র্যাক ব্যাংক, সিটি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসি (ইবিএল) এবং মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক (এমটিবি)।
বর্তমানে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় চারটি স্কিম— প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাস—চালু রয়েছে। এসব স্কিমের মাধ্যমে কর্মজীবী, অনিয়মিত আয়ের মানুষ ও প্রবাসীরা পেনশন সুবিধার আওতায় আসতে পারছেন।
২০২৩ সালের জুলাইয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে চালু হওয়া এই পেনশন ব্যবস্থাটি দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে প্রণয়ন করা হয়েছে। অর্থ বিভাগের তথ্যমতে, ২০২০ সালে দেশে ৬০ বছরের বেশি বয়সী মানুষের সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২০ লাখ, যা ২০৪১ সালে বেড়ে দাঁড়াবে ৩ কোটি ১০ লাখে।
এই ক্রমবর্ধমান বয়োজ্যেষ্ঠ জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর আওতায় আনতে এবং নিম্ন আয়ের ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতে নিয়োজিত প্রায় ৮৫ শতাংশ জনগণকে পেনশন সুবিধা দিতে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করে সরকার।