আতঙ্কে আতিউরপন্থীরা

সহকারী মুখপাত্র পদ থেকে আসাদকে অব্যাহতি




সংবাদ সম্মেলনে আতিউরের কানে পরামর্শ দিচ্ছেন আসাদুজ্জামানকেন্দ্রীয় ব্যাংকে ভালো নেই সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সর্মথকরা। চাকরি হারানোর ভয়ে আতঙ্কে আছেন অনেকেই। গভর্নর সচিবালয়ের মহাব্যবস্থাপক আ ফ ম আসাদুজ্জামানকে সহকারী মুখপাত্র পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও কয়েকজন কর্মকর্তাকেও দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক শুভঙ্কর সাহা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, আসাদুজ্জামানের নিয়োগ মূলত চুক্তিভিত্তিক। আর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ধারা অনুযায়ি তার কাজের সীমা আছে। নিয়োগপত্রে মুখপাত্রের বিষয়টি না থাকায় তাকে সেখান থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, তাকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক বুধবার একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করেছে।
প্রসঙ্গত, আতিউর রহমানের ব্যক্তিগত হস্তক্ষেপে আসাদুজ্জামান একের পর এক পদোন্নতি পান। এমনকি মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও মহাব্যবস্থাপক হিসেবে তাকে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮০০ কোটি টাকা চুরির ঘটনায় গভর্নরের পদ থেকে যেদিন ড. আতিউর রহমান পদত্যাগ করেন, সেদিন সংবাদ সম্মেলনে বেশ তৎপর দেখা যায় আ ফ ম আসাদুজ্জামানকে। সংবাদ সম্মেলনে আতিউর রহমানের কানে কানে পরামর্শও দেন তিনি। শুধু তাই নয়, সেদিন অফিস থেকে ছুটি না নিয়ে তিনি আতিউর রহমানের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হন।

এ বিষয়ে কথা বলার চেষ্টা করা হলে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আ ফ ম আসাদুজ্জামানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

এর আগে ড. আতিউর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ডেপুটি গভর্নর আবুল কাসেম ও নাজনীন সুলতানাকে অব্যাহতি দেয় সরকার। এছাড়া আরও কয়েকজন কর্মকর্তার তালিকা করা হয়েছে, যারা ড. আতিউর রহমানের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। তাদের ব্যাপারে অচিরেই সিদ্ধান্ত হতে পারে। যদিও গভর্নর হিসাবে যোগ দেওয়ার পর ফজলে কবির সাংবাদিকদের বলেছিলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সুপারিশে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সংস্কার করা হবে।

/এজে/