এই ভুক্তভোগীরা হচ্ছেন নন-এমপিও বেসরকারি স্কুল শিক্ষক, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক, এমপিওভুক্ত স্কুলে নন-এমপিও কম্পিউটার শিক্ষক, বেসরকারি কলেজের অনার্স-মাস্টার্স নন-এমপিও শিক্ষকরা।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন- দীর্ঘ আন্দোলন, অনশন, ধর্মঘটের পরও এই শিক্ষক শ্রেণিকে খুবই হতাশ করেছেন অর্থমন্ত্রী।
এর আগে গত মার্চ, এপ্রিল, মে মাসেও নন-এমপিও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ব্যানারে নন-এমপিও শিক্ষকরা দেশব্যাপী আন্দোলন করেন। ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতি টানা প্রায় দেড় মাস জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আমরণ অনশন করেন। অন্যদিকে এমপিওভুক্ত স্কুলে নন-এমপিও কম্পিউটার শিক্ষকরাও ক্লাস বর্জন করে ধর্মঘটে নামেন।
এছাড়া বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির দাবিতে কর্মসূচি দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। আন্দোলনও চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। আগামী ১২ জুলাই থেকে পূর্বঘোষিত আমরণ অনশনের ঘোষণাও রয়েছে ওই শিক্ষক পরিষদের নেতাদের।
বেসরকারি কলেজ অনার্স-মাস্টার্স শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা দেশের উচ্চশিক্ষায় কাজ করছি। শিক্ষার্থীদেরকে শিক্ষিত করে তুলছি। অথচ সরকার আমাদের হতাশ করলেন।’
২০১৬-১৭ অর্থবছরে নন-এমপিও শিক্ষকদের জন্য কোনও বাজেট এবং কোনও বক্তব্য না থাকায় হতাশ হয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদেরকে শিক্ষা সচিব আশ্বস্ত করেছিলেন। আমরা তার কথার কোনও ফল পেলাম না। আমরা আবারও আন্দোলনে নামবো।’
এদিকে, ইবতেদায়ি মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘আমরা শিক্ষক সমাজের মধ্যে সবচেয়ে অবহেলিত। আমাদের নামে মাত্র এক হাজার টাকার একটি ভাতা দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এমপিও’র দাবি জানিয়ে আসছি অথচ আমাদেরকে হতাশ করা হলো।’
উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে সর্বোচ্চ ৫২ হাজার ৯২০ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছে সরকার। এর মধ্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জন্যে বরাদ্দ ২২ হাজার ১৬০ কোটি, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে ২৬ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
/এফএস/ এএইচ/
আরও খবর পড়ুন-