কল্যাণমূলক বাজেট: এফবিসিসিআই

২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটকে কল্যাণমূলক বাজেট হিসেবে আখ্যায়িত করেছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। কর্পোরেট করে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্তকে খুবই ইতিবাচক বলে মন্তব্য করেছেন সংগঠনটির সভাপতি সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

ব্যবসায়ীদের এই শীর্ষ সংগঠন থেকে বাজেটোত্তর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, এই বাজেটের সবচেয়ে ভালো দিক মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা। এটি সবাইকে আশান্বিত করেছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ জুন) জাতীয় সংসদে আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য বাজেট উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

রাজধানীর মতিঝিলে সংগঠনের পক্ষে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দেন এফবিসিসিআই সভাপতি। তিনি বলেন, ‘প্রস্তাবিত বাজেটটি এমন এক সময়ে পেশ করা হয়েছে যখন করোনার বিশ্বব্যাপী সমস্যাগুলো রয়ে গেছে। এখন আবার এর সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি।’

জসিম উদ্দিন বলেন, ‘এর মধ্যে সার্বিক পরিস্থিতি সমন্বয় করে অর্থমন্ত্রী যে বিশাল সামাজিক সুরক্ষামূলক বাজেট দিয়েছেন সেটি নিঃসন্দেহে কল্যাণমূলক বাজেট হয়েছে।‌‌‌‌’

এফবিসিসিআই সভাপতির দাবি, এই বাজেটটি করার সময় অর্থমন্ত্রীকে অনেক চ্যালেঞ্জ মাথায় রেখে করতে হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘সেই পরিস্থিতিতে তিনি যেভাবে সামাজিক সুরক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ মনোনিবেশ করেছেন সেটিই বাজেটের সবচেয়ে ভালো দিক; যা আমাদের আশান্বিত করেছে। তবে ঘাটতি মেটাতে অভ্যন্তরীণ ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক লাখ ছয় হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ঋণ নেওয়ার যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটি নিতে গিয়ে যাতে এই ব্যবস্থার ওপর কোনও চাপ তৈরি না হয় সেদিকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্যাংক ব্যবস্থায় জোর না দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রায় ঋণ নেওয়াটাই অভ্যন্তরীণ বিনিয়োগ পরিস্থিতির জন্য সুখকর হবে।

উৎস করহার শূন্য দশমিক পাঁচ শতাংশ থেকে এক শতাংশ করায় রফতানি খাত ক্ষতিগ্রস্ত হবে উল্লেখ করে জসিম উদ্দিন বলেন, ‘বাজেট পাশের আগে প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয় এ বিষয়টি বিবেচনা করবেন।’