করপোরেট করে হাত দিলেন না অর্থমন্ত্রী

টানা তিন বছর করপোরেট কর কমানোর পর এবার বিরতি দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, প্রতিবছর দেশের কর জিডিপি বৃদ্ধির লক্ষ্যে সার্বিক বিবেচনায় করপোরেট করহারের বিদ্যমান কাঠামোটি বহাল রাখার প্রস্তাব করছি। তার মানে আগামী অর্থবছরে করপোরেট করে কোনও পরিবর্তন আনেননি অর্থমন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকাল ৩টায় জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রস্তাবিত বাজেট পেশ শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। সেখানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রসঙ্গত,  বর্তমানে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত যেসব কোম্পানি প্রাথমিক গণপ্রস্তাব বা আইপিওতে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের বেশি শেয়ার ছেড়েছে, সেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করহার ২০ শতাংশ। আর যেসব কোম্পানি আইপিওতে পরিশোধিত মূলধনের ১০ শতাংশের কম শেয়ার ছেড়েছে, তাদের ক্ষেত্রে করপোরেট করহার সাড়ে ২২ শতাংশ। আর শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির করপোরেট করহার সাড়ে ২৭ শতাংশ। একক ব্যক্তির কোম্পানির ক্ষেত্রে করপোরেট করহার নির্ধারণ করা হয়েছে সাড়ে ২২ শতাংশ। তবে বিদ্যমান এসব করহার আড়াই শতাংশ করে বাড়বে, যদি কোম্পানিগুলো আরোপিত শর্ত পরিপালন না করে। আড়াই শতাংশ কম করপোরেট কর দিতে হলে কোম্পানিগুলোকে নগদ লেনদেনের শর্ত পালন করতে হয়। এ শর্ত হচ্ছে— কোনও কোম্পানি একক লেনদেনের ক্ষেত্রে ৫ লাখ টাকার বেশি এবং বছরে ৩৬ লাখ টাকার বেশি নগদে লেনদেন করতে পারবে না। যদি কেউ এ শর্ত পালনে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের ক্ষেত্রে নির্ধারিত করপোরেট করের চেয়ে আড়াই শতাংশ বেশি কর দিতে হবে।

এ ছাড়া শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও মার্চেন্ট ব্যাংকের ক্ষেত্রে বর্তমানে করপোরেট করহার নির্ধারিত রয়েছে সাড়ে ৩৭ শতাংশ। যেসব ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত নয়, তাদের ক্ষেত্রে করপোরেট কর ৪০ শতাংশ। এর বাইরে তালিকাভুক্ত মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে করপোরেট কর ৪০ শতাংশ। দেশে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি করপোরেট কর নির্ধারিত রয়েছে সিগারেট, বিড়ি, জর্দা, গুলসহ তামাকজাত পণ্য প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে, এ হার ৪৫ শতাংশ। এ ধরনের কোম্পানিকে করপোরেট করের পাশাপাশি আড়াই শতাংশ হারে সারচার্জ দিতে হয়।