রানা প্লাজা থেকে শিক্ষা নিয়েছি: বিজিএমইএ সভাপতি

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেছেন, ‘রানা প্লাজায় ঘটে যাওয়া ঘটনা থেকে আমরা শিক্ষা নিয়েছি। যে ঘটনা ঘটেছে তার শিকার যারা, তাদের ক্ষতি পূরণীয় নয়, কিন্তু প্রত্যেককে আর্থিক সহায়তা দিয়ে কাজে ফেরানো এবং চিকিৎসার সুযোগ করে দেওয়ার কাজটি আমরা করেছি। এরপরও যদি কেউ সেটি না পেয়ে থাকেন আমাদের নজরে এলে ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।’

একশন এইড এর সাম্প্রতিক গবেষাণায় উঠে আসে ‘রানা প্লাজ ধসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫৭ শতাংশ শ্রমিক বেকার এবং বেশিরভাগ আহত শ্রমিক পেশা বদল করছে’। কেন এমনটি হচ্ছে প্রশ্ন করা হলে জবাবে বাংলা ট্রিবিউনকে এসব কথা বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান বলেন, ‘রানা প্লাজার ঘটনা আমাদের জন্য বড় শিক্ষার ছিল। কাঠামো না জেনে অন্যের বিল্ডিং ভাড়া নেওয়ায় এ দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হলো। এরপর আমরা কারখানার পরিবেশ নিয়ে কাজ শুরু করি। এখন বাংলাদেশে উন্নতমানের কারখানা রয়েছে। এগুলোর পরিবেশ বিষয়ে সারাবিশ্ব অবহিত।’

‘কত শতাংশ ক্ষতিপূরণ পেলো না, কতজন এখনও বেকার বা কাজ বদলেছে—এসব বিষয় আমরা দেখতে চাই। কেননা, আমরা যতজনের তথ্য পেয়েছি, তাদের প্রত্যেকের কাজ ও ক্ষতিপূরণে কাজ করা হয়েছে।’—বলেন বিজিএমইএ সভাপতি।

ফারুক হাসান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কেউ পেশা পরিবর্তন করলে সেটা তার পারসোনাল চয়েস। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই। কিন্তু রানা প্লাজায় আহত শ্রমিকদের কাজের ব্যবস্থা করে দিতে আমরা বেশকিছু উদ্যাগ নিয়েছি নানা সময়ে। আমরা চাইলেও রানাপ্লাজার ঘটনার পূর্বের সময়ে ফেরত যেতে পারবো না, কিন্তু আমরা যা পাববো তা হলো আর যেন এ রকম ঘটনা না ঘটে সেই ব্যবস্থা নিতে। আমরা ভাড়া বিল্ডিংয়ের কারখানার ক্ষেত্রে বিল্ডিং স্ট্রাকচারের কাগজ জমা নিই। গত আট বছরে শ্রমিকবান্ধব কারখানা তৈরির চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। এটা আমাদের নিজেদের স্বার্থে, শ্রমিকদের স্বার্থে, দেশের স্বার্থে করতে হয়েছে।’