পণ্য পুনঃরফতানিতে নতুন নির্দেশনা

রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন দেশে থেকে ফেরত আসা পণ্যের চালান খালাস ও পুনঃরফতানি সহজ করার জন্য ১০টি বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

এনবিআরের কাস্টমস ও বন্ড বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মশিউর রহমান মণ্ডল সই করা আদেশে বলা হয়েছে, রফতানি বাণিজ্যের প্রসার, উদারীকরণ ও সহজীকরণের লক্ষ্যে কাস্টমস আইনে দেওয়া ক্ষমতাবলে এনবিআর রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর বিভিন্ন দেশ থেকে ফেরত আসা পণ্য চালান খালাস ও পুনঃরফতানির স্বার্থে ফেরত আসা পণ্য চালানের আমদানি ও রফতানি সংক্রান্ত সব দলিল যথাযথভাবে যাচাই করে নিশ্চিত করবে।

ন্যূনতম একজন সহকারী কমিশনারের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পণ্য চালানগুলো শতভাগ কায়িক পরীক্ষা করে পণ্যের বর্ণনা, ওজন, সংখ্যা বা পরিমাণ প্রভৃতি নিশ্চিত হয়ে খালাস ও পুনঃরফতানি কার্যক্রম শেষ করতে হবে। খালাসকালে আমদানি ও রফতানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দফতরের অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে।

পুনঃরফতানির আগে সংশ্লিষ্ট লিয়েন ব্যাংক এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনাপত্তিপত্র দাখিল করতে হবে।

খালাসকালে হালনাগাদ অথবা বর্ধিত জাহাজীকরণের মেয়াদ সম্পন্ন রফতানি আদেশের কপি দাখিল করতে হবে। পণ্য খালাসের এক বছরের মধ্যে ফেরত আসা পণ্য চালান পুনঃরফতানি করতে হবে।

বন্ড লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য শুল্ক-করের সমপরিমাণ নিঃশর্ত ও অব্যাহত ব্যাংক গ্যারান্টি গ্রহণ সাপেক্ষে পণ্য চালান খালাস দিতে হবে।

রফতানিমুখী বন্ডেড শিল্প প্রতিষ্ঠান ফেরত আসা পণ্য চালানের বিপরীতে এ মর্মে অঙ্গীকারনামা দাখিল করবে যে, ‘পণ্য চালান খালাসের এক বছরের মধ্যে রফতানি করতে ব্যর্থতায় ছাড়কৃত চালানের বিপরীতে প্রযোজ্য শুল্ক - করাদি পরিশোধ করতে বাধ্য থাকবে’।