প্রসাধনীসহ বিভিন্ন বিলাসী পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ

আমদানি নিরুৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরনের বিলাসী পণ্যে বাড়তি শুল্ক আরোপ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এর মধ্যে কিছু পণ্যে নতুন করে শুল্ক আরোপ করা হয়েছে, আর কিছু পণ্যে শুল্ক বৃদ্ধি করা হয়েছে। এসব পণ্যের তালিকায় আছে বিস্কুট, চকলেট, ফল, জুস ও বিদেশি তৈরি পোশাক, ফার্নিচার ও ফার্নিচার তৈরির কাঁচামাল, প্রসাধনসামগ্রী ইত্যাদি।

সোমবার (২৩ মে) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংস্থাটি। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এসব পণ্যে ৩ শতাংশ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।

সূত্র বলছে, আমদানি প্রবণতা কমাতে ও দেশীয় পণ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এসব পণ্যের ওপর নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি) আরোপ করা হয়েছে।

নতুন করে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানো হলো যেসব পণ্যে, সেগুলোর মধ্যে ২০ শতাংশ হারে বসেছে কাঠ ও লোহার আসবাব এবং আসবাবের কাঁচামাল; সিকেডি অবস্থায় ব্যক্তিগত গাড়িতে ৩০ শতাংশ; পিকআপ ও ডাবল কেবিন পিকআপ ভ্যানে ২০ শতাংশ এবং গাড়ির ইঞ্জিনে ১৫ শতাংশ। এছাড়া টায়ার, রিম ইত্যাদির ওপর ৩ থেকে ১০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে।

এ ছাড়া নির্মাণসামগ্রীর কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত রড, বিলেট ইত্যাদির ওপর ৩ থেকে ১০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসেছে। সিমেন্ট খাতের অন্যতম কাঁচামাল ফ্লাই অ্যাশ আমদানিতে ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানো হয়েছে।

অন্যদিকে পারফিউম, চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়ার সামগ্রী এবং সেভ করার সামগ্রীসহ বিভিন্ন প্রসাধনীর ওপর এখন থেকে ২০ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক দিতে হবে। অক্সিজেন, নাইট্রোজেন, আর্গন, প্রাথমিক চিকিৎসাসামগ্রী আমদানি করতেও ১৫ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসানো হয়েছে। ফাইবার অপটিক ও বিভিন্ন ধরনের তারে ৩ থেকে ১০ শতাংশ হারে শুল্ক বসেছে।

এ ছাড়া আম, আপেল, তরমুজ, বাদামসহ বিভিন্ন রকমের ফলের ওপর ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসিয়ে এনবিআর আমদানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নিল। চালের (হাসকড) ওপর ২৫ শতাংশ হারে নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক বসেছে।

এদিকে আজ মঙ্গলবার (২৪ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনবিআর জানিয়েছে, করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন, বিলাসবহুল পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা ও আমদানি হ্রাসকরণ এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের লক্ষ্যে বিদেশি ফল, ফুল, ফার্নিচার ও কসমেটিকস জাতীয় প্রায় ১৩৫টি পণ্যের উপর আমদানি পর্যায়ে শুন্য ও ৩ শতাংশের পরিবর্তে ২০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে।