প্রসঙ্গত, আগ্রাসী ব্যাংকিং ঠেকাতে প্রায় দুই বছর আগে এডিআর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগের নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য টানা চারবার সময়সীমা বাড়ানো হয়। কিন্তু এরপরও বাস্তবায়িত হয়নি। এখন এডিআর সেই আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
দেশের সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত প্রচলিত ধারার ব্যাংকের জন্য অগ্রিম-আমানত হার সর্বোচ্চ ৮৫ শতাংশ এবং ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক ও প্রচলিত ধারার ব্যাংকের ইসলামি ব্যাংকিং কার্যক্রমের জন্য বিনিয়োগ-আমানত হার সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতের মূলধন ভিত্তি, তারল্য পরিস্থিতি, আন্তঃব্যাংক নির্ভরশীলতা বিবেচনায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
এর আগে, ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি ব্যাংকগুলোর এডিআর (ঋণ-আমানত অনুপাত) কমিয়ে সাধারণ ব্যাংকের জন্য ৮৩ টাকা ৫০ শতাংশ এবং ইসলামি ব্যাংকগুলো ৮৯ শতাংশ নির্ধারণ করে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, এডিআর কমানোর পর থেকেই বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহে মন্দা চলছে। এর ফলে বিনিয়োগেও স্থবিরতা দেখা দিয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ বেড়েছে ১১ দশমিক ২৬ শতাংশ। গত অর্থবছরে (২০১৮-১৯) প্রবৃদ্ধি হয়েছিল ১১ দশমিক ৩২ শতাংশ। যদিও ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ বেড়ে হয়েছিল প্রায় ১৭ শতাংশ।