২৮ এপ্রিলের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকে এমডি নিয়োগের নির্দেশ

দীর্ঘদিন পূর্ণাঙ্গ ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নেই ন্যাশনাল ব্যাংকে। আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে ব্যাংকটিতে একজন স্থায়ী এমডি নিয়োগ দিতে বলা হয়েছে। তা না হলে আইন অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে। গত ১৯ এপ্রিল (সোমবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ব্যাংকের চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদারকে এ বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে বলা হয়, ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমডি নিয়োগ না দিলে ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫(ক) ধারা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যবস্থা নেবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘আইন অনুযায়ী তাদের স্থায়ী এমডি নিয়োগ দিতে হবে। দীর্ঘদিন এমডি পদ খালি রাখা যাবে না। আগামী বুধবারের মধ্যে যদি তারা নির্দেশনা পতিপালন করে তাহলে সমস্যা নেই। আর যদি না করে তাহলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবো।’

প্রসঙ্গত, ব্যাংক কোম্পানি আইনের ১৫(ক) ধারার ২ উপধারায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যাংকের এমডি পদ একাধারে তিন মাসের বেশি শূন্য রাখা যাবে না। ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে এমডি পদ পূরণ না হলে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রশাসক নিয়োগ দিতে পারে, যিনি ব্যাংকের এমডির দায়িত্ব পালন করবেন। আইন অনুযায়ী, আগামী ২৮ এপ্রিলের মধ্যে এমডি নিয়োগ না দিলে ব্যাংকটিতে প্রশাসক দিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক।

সর্বশেষ ব্যাংকটির অতিরিক্ত এমডি এ এস এম বুলবুল এমডির দায়িত্বে ছিলেন। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার পর তাকে সরিয়ে দিতে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরে ব্যাংকটির চেয়ারম্যান মনোয়ারা সিকদার তার মেয়াদ বাড়ান, যা কার্যকর হয় ১ এপ্রিল থেকে। কিন্তু বিষয়টি বিধি পরিপন্থী হওয়ায় তাকে চলতি দায়িত্ব থেকে বিরত রাখতে আরেকবার (৬ এপ্রিল) নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওই নির্দেশের পর এ এস এম বুলবুলকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিয়ে উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ সৈয়দ আবদুল বারীকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্ব দেয় ব্যাংকটির পর্ষদ। ২৮ এপ্রিল ব্যাংকটির স্থায়ী এমডি পদ শূন্য থাকার তিন মাস পূর্ণ হবে।