ঋণখেলাপি শনাক্ত আরও সহজ হলো

ঋণখেলাপিদের সহজে শনাক্ত করতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ক্রেডিট ইনফরশেন ব্যুরোকে (সিআইবি) আরও  শক্তিশালী করা হয়েছে। সিআইবি অনলাইন সিস্টেমের ইনকোয়ারি মডিউলে নতুন তথ্য সংযোজন করে বুধবার (১৬ জুন ) একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

ক্রেডিট ইনফরশেন ব্যুরো থেকে জারি করা সার্কুলারটি সব বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে সিআইবিতে সব ধরনের ঋণ একসঙ্গে রয়েছে। নতুন ব্যবস্থায় সিআইবি অনলাইন সিস্টেমের ইনকোয়ারি মডিউলে সব ঋণ ও চলমান ঋণকে আলাদা অপশনে রাখা হয়েছে। চলমান ঋণের মধ্যে পরিশোধিত ঋণের গত ছয় বছরের তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। আবেদন করা ঋণের গত দুই বছরের তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। শুধু চলমান ঋণ অপশন থেকে ডাউনলোড করা সিআইবি রিপোর্টে  চলমান ঋণ ও আবেদন করা ঋণের তথ্য থাকবে।

ঋণখেলাপিদের শনাক্ত করতে নিয়মিত ঋণ ও খেলাপি ঋণকে আলাদাভাবে শনাক্ত করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্য সংযোজন করা হয়েছে। ঋণের মধ্যে নিয়মিত ঋণ ও খেলাপি ঋণের তথ্যও সংরক্ষণ করা হচ্ছে।

সিআইবির নিরাপত্তা বাড়াতে পাসওয়ার্ড করা হয়েছে ১১ ডিজিটের। তিন দফা ভুল পাসওয়ার্ড দিলে তা ব্লক হয়ে যাবে। সিআইবি ব্যবহারের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অনলাইন সিস্টেমসের নিরাপত্তা বাড়াতে হবে।

সিআইবি হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ একটি বিভাগ। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবিষয়ক সব ধরনের তথ্য এখানে সংরক্ষিত থাকে। ঋণ গ্রহণে আগ্রহী কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আগে ঋণ নিয়েছেন কিনা, নিয়ে থাকলে তা শোধ করেছেন কিনা বা কী অবস্থায় আছে, এসব তথ্য জানা যায় সিআইবির মাধ্যমে। পাশাপাশি ঋণের জামানতের তথ্যও এতে সংযোজন করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণবিষয়ক সব ধরনের তথ্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিআইবিতে সংরক্ষিত রয়েছে। এতে সর্বনিম্ন ১ টাকার ঋণ থেকে সর্বোচ্চ যে কোনও অঙ্কের ঋণের তথ্য রয়েছে।  কোনও গ্রাহককে নতুন ঋণ দিতে হলে ওই গ্রাহক খেলাপি কিনা, সে তথ্য সংগ্রহ করা বাধ্যতামূলক। এ কারণে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিআইবি থেকে এসব তথ্য সংগ্রহ করে।