২০২২ সালের আগে ঋণের টাকা ফেরত দিতে চান না ব্যবসায়ীরা

আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের টাকা ফেরত দিতে চান না ব্যবসায়ীরা। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে দাবি করে এ সুযোগ চেয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।

সংগঠনটি বলছে, করোনায় আবারও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় অধিকাংশ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ঋণের কিস্তি সময়মতো জমা দিতে পারছে না। এ জন্য চলতি বছরও ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছাড় চায় এ সংগঠন। ঋণ পরিশোধ না করলেও যাতে ব্যাংক খেলাপি না করে, সেই সুবিধা আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চালু রাখার অনুরোধ জানিয়ে গত বুধবার (১৬ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে একটি চিঠি দেন এফবিসিসিআইয়ের নতুন সভাপতি জসিম উদ্দিন।

চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোভিড-১৯ এর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় অর্থনীতির বাস্তব সমস্যা অনুধাবন করে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে সময়োপযোগী আর্থিক ও নীতিসহায়তা দেওয়া হয়েছে। এ কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোভিভ-১৯ পরবর্তী ধকল সন্তোষজনকভাবে মোকাবিলা করার সুযোগের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমান পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে এফবিসিসিআই চিঠিতে উল্লেখ করে, করোনা মহামারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে। অধিকাংশ শিল্প ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের ঋণের কিস্তি সময়মতো পরিশোধ করতে পারছে না। এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে দেওয়া সুবিধার মেয়াদ বৃদ্ধি করা না হলে অধিকাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান অনিচ্ছাকৃত খেলাপিগ্রাহকে পরিণত হবে। এতে ব্যাংকিং খাতসহ পুরো অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

এ জন্য দেশের শিল্প ও ব্যবসা-বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট সব খাতের ঋণ বিরূপ, মানে শ্রেণিকরণ প্রক্রিয়া আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত রাখার জন্য দাবি জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

প্রসঙ্গত, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের পুরো সময়ে এই সুবিধা পান ঋণগ্রহিতারা। চলতি বছরও কিছু সুবিধা চালু আছে, তবে আগের মতো নয়। গতবছরের মতো গণসুবিধা বহাল না থাকায় চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই ব্যাংকের খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা বেড়েছে। তাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৫ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৮ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।