বন্ধে হচ্ছে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা মদের অপব্যবহার

শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা মদ, সিগারেট ও মদ জাতীয় অন্যান্য পণ্যের অপব্যবহার বন্ধে পদক্ষেপ নিচ্ছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ জন্য ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে এনবিআর। শুল্কমুক্ত সুবিধায় কেনা এসব পণ্যের অপব্যবহার বন্ধ করতে অটোমেটেডের আওতায় এসেছে ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড ওয়্যার হাউসগুলো। ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত ‘ডিপ্লোমেটিক বন্ড অটোমেশন সিস্টেম’ প্রণয়ন করেছে এনবিআর।

এনবিআরের কাস্টমস রফতানি ও বন্ড বিভাগের দ্বিতীয় সচিব মশিউর রহমান মণ্ডলের সই করা প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইস্যুকৃত ট্যাক্স একজামসন সার্টিফিকেট (টিইসি) ও ঢাকা কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের ইস্যুকৃত পাসবইয়ের বিপরীতে বাংলাদেশে অবস্থানরত ডিপ্লোমেটস ও প্রিভিলাইজড পার্সন শুল্ক-করমুক্তভাবে ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড ওয়্যারহাউস হতে আমদানিকৃত মদ, মদ জাতীয় পণ্য, সিগারেট ইত্যাদি ক্রয় করে থাকেন। তাই ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড ওয়্যারহাউসের কার্যক্রম ডিজিটাল প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের মাধ্যমে সরকারি সেবা প্রদানের স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা ও দ্রুততম সেবা প্রদান নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

এ কারণে ওই সেবা নিশ্চিত করতে এনবিআর একটি ডিপ্লোমেটিক বন্ড অটোমেশন সিস্টেম সফটওয়্যার প্রণয়ন করেছে; যা ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড ওয়্যারহাউসকে অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।

জানা যায়, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৫৫ থেকে ৬০ হাজার লিটার মদ শুল্কমুক্ত সুবিধায় ডিপ্লোমেটিক বন্ডেড ওয়্যার হাউসের মাধ্যমে আসে। সেখানে বৈধভাবে মদ আমদানিতে শুল্ক-কর সাড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ শতাংশ দিতে হয়। বিশেষ সুযোগে আনা এসব মদের একটি বড় অংশ খোলাবাজারে কিংবা বারগুলোতে বিক্রির অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এছাড়া মদের অবৈধ বিক্রির অভিযোগ তো আছেই। সে কারণেই শুল্কমুক্ত সুবিধায় মদসহ অন্যান্য পণ্যের অপব্যবহার বন্ধে অটোমেটেডের উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।