কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশাল ছাড়ের পরও সন্তুষ্ট নয় এফবিসিসিআই

ঋণখেলাপিদের বিশাল ছাড় দিয়ে একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই বিশাল ছাড়ের পর আরও ছাড় চায় ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই। বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সংগঠনটির সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বরাবর চিঠি পাঠিয়ে বৃহৎ ও ক্ষুদ্র সব শ্রেণির ঋণগ্রহীতার মেয়াদি, চলমান ও তলবি ঋণ গ্রেস পিরিয়ডসহ সর্বোচ্চ মেয়াদ ৮ বছর নির্ধারণের অনুরোধ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি ন্যূনতম ডাউনপেমেন্টের হার সব ক্ষেত্রে আড়াই শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন।

গত ১৮ জুলাই ঋণখেলাপিদের ব্যাপক ছাড় দিয়ে বড় ঋণে কম ডাউনপেমেন্ট ও ছোট ঋণে বেশি ডাউনপেমেন্ট এবং বড় ঋণে বেশি মেয়াদে ও ছোট ঋণে কম মেয়াদে পুনঃতফসিলের নতুন নীতিমালা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এফবিসিসিআইর দাবি— করোনা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে সব শ্রেণির ব্যবসায়ীদের সমান ক্ষতি বিবেচনায় একই রকম সুবিধা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার আলোকে, পাঁচশ কোটি টাকার বেশি অংকের ঋণখেলাপি হলে চার দফায় মোট ২৯ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। এ ক্ষেত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় ৮ বছর করে পুনঃতফসিল করতে পারবে ব্যাংক। ১০০ কোটি টাকার বেশি থেকে ৫০০ কোটি টাকার কম ঋণে প্রথম দুই দফা ৭ বছর করে চার দফায় ২৫ বছরের জন্য পুনঃতফসিল করা যাবে। আর ১০০ কোটি টাকার কম ঋণে প্রথম দুই দফা ৬ বছর করে চারবারে ২১ বছর করা যাবে। আর চলমান ও তলবি ঋণ পুনঃতফসিলেও ঋণের পরিমাণ অনুযায়ী প্রথম দুই দফা ৫, ৬ ও ৭ বছর নির্ধারিত হবে। পুনঃতফসিলের ক্ষেত্রে যত ছোট ঋণ তত বেশি ডাউনপেমেন্ট। এ ক্ষেত্রে ডাউনপেমেন্টের হার হবে মোট বকেয়ার আড়াই শতাংশ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ।

এফবিসিসিআইর চিঠিতে বলা হয়েছে, ঋণ পুনঃতফসিল ও পুনর্গঠনের নতুন নীতিমালা বিদ্যমান সংকটময় পরিস্থিতিতে আর্থিক খাতে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহায়ক হবে। ব্যবসায়ীদের জন্য সার্কুলার জারি করে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য তিনি নতুন গভর্নরকে ধন্যবাদও দিয়েছেন চিঠিতে।

তবে সব শ্রেণির ঋণগ্রহীতাদের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করা জরুরি। কেননা সবাই একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।