জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.১০ শতাংশ, মাথাপিছু ২৭৯৩ ডলার

করোনার ধাক্কা কাটিয়ে চূড়ান্ত হিসাবে ২০২১-২২ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ১০ শতাংশ হয়েছে; যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ৬ দশমিক ৯৪ শতাংশ। এছাড়াও এই অর্থবছরে মাথাপিছু আয়ের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ হাজার ৭৯৩ মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরে (২০২০-২১) ছিল ২ হাজার ৫৯১ মার্কিন ডলার।

রবিবার (৫ জানুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) চূড়ান্ত এ হিসাব প্রকাশ করেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থিতমূল্যে বাংলাদেশের জিডিপির আকার দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ৩ লাখ ৫১ হাজার ৪৯৬ মিলিয়ন টাকায়, যা ২০২০-২১ অর্থবছরে ছিল ২ কোটি ৮৩ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৪ মিলিয়ন টাকা।

স্থিতমূল্যে জিডিপির বিভিন্ন খাত ভিত্তিক শেয়ার বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, সেবা খাতের প্রবৃদ্ধিও কমে হয়েছে ৫৩ দশমিক ০৭ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে যা ছিল ৫৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৫৩ দশমিক ৪২ শতাংশ ও গত বছর যা ছিল ৫৩ দশমিক ১৫ শতাংশ। সুতরাং গত চার বছরে সেবা খাতের প্রবৃদ্ধি কমেছে। সেবা খাতের মোট আর্থিক ভলিউম ২ কোটি ২ লাখ ৭০ হাজার ৮৭৯ মিলিয়ন টাকা।

উল্লেখ্য, আবাসন, খাদ্য, তথ্যসেবা, ইন্স্যুরেন্স, রিয়েল এস্টেট ব্যবসা, শিক্ষা, জনপ্রশাসন, সামাজিক কাজ, পাইকারি-খুচরা ব্যবসা, পরিবহন, পোস্টাল ও কুরিয়ার সার্ভিস, সড়ক পরিবহন, নদী ও আকাশপথের পরিবহন ইত্যাদি সেবা খাতের আওতায় পড়েছে।

বিবিএস জানিয়েছে, প্রবৃদ্ধি কমেছে কৃষি খাতের। ২০২১-২২ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ হয়েছে; গত বছর যা ছিল ১২ দশমিক ০৯ শতাংশ। ২০১৯-২০ অর্থবছরে কৃষি খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৪৪ শতাংশ ও ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১২ দশমিক ৫২ শতাংশ। কৃষি খাতের মোট ভলিউম ৪৪ লাখ ৫৫ হাজার ৩১৩ মিলিয়ন টাকা। কৃষি খাতের উপখাত হচ্ছে- মাছ শিকার, পশু পালন, বন ও সেবা।

অন্যদিকে ২০২১-২২ অর্থবছরে শিল্পখাতের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৫৫ শতাংশ, গত বছর যা ছিল ১২ দশমিক ৭১ শতাংশ। এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে শিল্প খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৪ দশমিক ৮৭ শতাংশ। শিল্প খাতের মোট ভলিউম ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭২ হাজার ৯৪ মিলিয়ন টাকা। শিল্পখাতের আবার কিছু উপখাত আছে। এর মধ্যে অন্যতম প্রাকৃতিক গ্যাস, ক্রুড পেট্রোলিয়াম, কয়লা, ম্যানুফ্যাকচারিং ও ইলেক্ট্রিসিটি।