সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন করবে বেক্সিমকো

যৌথ বিনিয়োগের ভিত্তিতে আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে বাংলাদেশি ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আর সেখানে যে জনবল ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট লাগবে তা বাংলাদেশ থেকে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

শনিবার (১১ মার্চ) সৌদি আরবের বাণিজ্যমন্ত্রী মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলকে সঙ্গে নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
 
সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ওষুধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ, ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ওষুধের ওপর মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের ওষুধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং ইতোমধ্যে সারা বিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’

বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩-এ যোগ দিতে ১০ মার্চ বিকালে ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ডক্টর মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি। পরে ওইদিনই গাজীপুরে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালে প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন সৌদিমন্ত্রী। এরপর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথাও বলেন তারা। 

সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনও কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখবো। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রফতানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে চাই। 

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুত কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে। 

আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এই কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে। 

বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ওষুধ রফতানি হয়েছে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের।