চলছে ২য় বাংলাদেশ-ইইউ বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপ

বাংলাদেশ-ইইউ পতাকা

২য় বাংলাদেশ-ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) বিজনেস ক্লাইমেট সংলাপ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সংলাপ শুরু হয়। বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ইইউ বিজনেস কাউন্সিল যৌথভাবে এ সংলাপের আয়োজন করেছে।

সংলাপে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তার নেতৃত্বে মোট ২৮ সদস্যের একটি দল এ সংলাপে অংশ নিচ্ছেন। দলে বাণিজ্যমন্ত্রী ছাড়াও রয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সচিব এনবিআর চেয়ারম্যান, ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান, ডব্লিউ পিও সেলের ডিজিসহ অন্যান্য পদস্থ ব্যক্তিবর্গ।

অপরপক্ষে সংলাপে নেতৃত্ব নিচ্ছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ’র রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদুন। দলে তিনি ছাড়া আরও রয়েছেন ইইউভুক্ত নয়টি দেশের নয় রাষ্ট্রদূত ও ১৪টি বিজনেস ফোরামের প্রতিনিধিসহ মোট ৩৪ জন।

স্বাগত বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সব বাধা অতিক্রম করে বাংলাদেশে এগিয়ে যাচ্ছে। গত বছর আমরা ৩৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি করেছি। এবছর ৩৭ বিলিয়ন  ডলারের পণ্য রফতানি করব। ২০২১ সালে পণ্য রফতানির অর্থমূল্য ৫০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হবে। রফতানি-পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে আমরা আইটি, ফার্মাসিউটিক্যালস, লেদার, এগ্রো প্রোডাক্টসহ সাতটি সেক্টরকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ইইউ চাইলে এসব সেক্টরে বিনিয়োগ করতে পারে।

মন্ত্রী জানান, পণ্য রফতানি ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ১৫ শতাংশ নগদ সহায়তা/প্রণোদনা (ইনসেনটিভ) দেওয়া হবে। বিনিয়োগ করলে ইইউ এই ইনসেনটিভ সুবিধা নিতে পারে।

মন্ত্রী আরও বলেন, বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে আমরা ১০০টি ইপিজেড (রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা) নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যে ২১টির নির্মাণকাজ শুরু হয়ে গেছে। ইইউ চাইলে এসমস্ত ইপিজেড-এ বিনিয়োগ করতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান শেষে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব। বিশ্বব্যাংক এরইমধ্যে বাংলাদেশকে সম্ভাবনায় অর্থনৈতিক শক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে এবং আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

দিনব্যাপী সংলাপ শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ সংলাপের অগ্রগতি সম্পর্কে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

/এসআই/এইচকে/